সোমবার রাতে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ এমপি তার প্যাডে হাতে লেখা এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে বলেন, জিএম কাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আছেন। তিনি দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু হুট করে আলাপ আলোচনা ছাড়া তাকে নতুন চেয়ারম্যান ঘোষণা হঠকারি সিদ্ধান্ত, কারণ তাকে জাপার চেয়ারম্যান করার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় কাদের জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। তাকে নতুন চেয়ারম্যানের ঘোষণা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতির নিচে রওশন এরশাদসহ দলের ১০ জন জ্যেষ্ঠ নেতার নাম দেওয়া হয়েছে। তবে নামগুলোর পাশে কোন স্বাক্ষর নেই।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বনানি অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে জিএম কাদেরকে জাপার নতুন চেয়ারম্যান ঘোষণা দেন। সেদিন দুপুরেই জিএম কাদের রওশনের বাসায় বাসায় যান ও তার দোয়া নিয়ে আসেন।রাতে জিএম কাদের এর প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভ রায় বলেন, রওশন বিরোধী নেতা, জিএম কাদের জাপার চেয়ারম্যান।
বিবৃতিতে যাদের নাম রয়েছে দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান বেগম রওশন এরশাদ, জ্যেষ্ঠ নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, ফখরুল ইমাম এমপি, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, সেলিম ওসমান এমপি, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন খান, প্রফেসর মাসুদা রশীদ চৌধুরী এমপি, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান এমপি।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, বৃহস্পতিবার পার্টির পক্ষ থেকে একটি প্রেস কনফারেন্স করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনটি মূলত ছিল জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগণ যে সম্মান ও ভালোবাসা দেখিয়েছেন সে বিষয়ে সবাইকে শ্রদ্ধা জানানো। কিন্তু, হঠাৎ সেখানে জাতীয় পার্টির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
প্রকৃত অর্থে জাতীয় পার্টিতে এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সবাইকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। এতে আরো বলা হয়, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে তিনি গঠনতন্ত্রের ধারা ২০-এর উপধারা ২ এর খ এর দেওয়া ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে না। যথা মনোনীত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রেসিডিয়ামের সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামতের ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করিবে। ভুলে গেলে চলবে না চেয়ারম্যানের অবর্তমানে গঠনতন্ত্রের ধারা ২০ উপধারা ২ এর ক উপেক্ষা করা যাবে না।
‘আশা করি বর্তমানে যিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্ধারিত হয় ততদিন পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন।’
আরএম/