আওয়ার ইসলাম: প্রিয়া সাহার বক্তব্যকে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন আবুল বারকাত। তিনি জানান, তার গবেষণাকে বিকৃত করে তথ্য দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রিয়া সাহা কখনও তার সঙ্গে গবেষণাকাজে যুক্ত ছিলেন না। এবং তার নাম উল্লেখ করে দেওয়া তথ্যও মিথ্যা।
বিবৃতি বলা হয়, প্রিয়া সাহা একটি ভিডিও-সাক্ষাতকারে দাবি করেন, তার দেওয়া পরিসংখ্যান অধ্যাপক বারকাতের গবেষণার তথ্য-উপাত্তের সঙ্গে মিলে যায়। প্রিয়া বলেন, ‘২০১১ সালে স্যারের (বারকাত) সঙ্গে সরাসরি কাজ করেছিলাম যার কারণে বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত।’
বিবৃতিতে একে ভিত্তিহীন দাবি বলা হয়। নিজের গবেষণাকাজের উদাহরণ দিয়ে অধ্যাপক বারকাত বলেন, প্রিয়ার দেওয়া তথ্যের সঙ্গে তার গবেষণার তথ্যের কোনও মিল নেই।
উল্লেখ্য, প্রিয়া সাহা অভিযোগ করেছিলেন, ‘১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনসংখ্যার হার ছিল ২৯ দশমিক ৭ ভাগ। আর ২০০১ সালের জরিপ অনুযায়ী এখন সংখ্যালঘু জনসংখ্যার হার ৯ দশমিক ৭ ভাগ। এখন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক ১ কোটি ৮০ লাখ। তার মানে বিপুলসংখ্যক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গেছেন।’
এসময় প্রিয়া বাংলাদেশের অর্থনীতি সমিতির সভাপতি আবুল বারকাতকে রেফারেন্স টেনে বলেন, ‘আমি এক সময় তার (আবুল বারকাত) সঙ্গে কাজ করেছি। আবুল বারকাত বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করেই গবেষণায় দেখিয়েছেন, প্রতিদিন গড়ে ৬৩২ জন সংখ্যালঘু বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন। আমি সেই গবেষণা থেকেই রেফারেন্স দিয়েছি।’
আরএম/