আওয়ার ইসলাম: সাইকেল চালিয়ে হজযাত্রায় বেরিয়েছেন ৮ মুসলিম। ৭ জুন তারা লন্ডন থেকে যাত্রা করে ১৩ জুলাই ইস্তাম্বুলে যাত্রাবিরতি দিয়েছেন। এ যাত্রায় ১৭টি দেশ অতিক্রম করবেন তারা। তবে তারা সিরিয়া ও ইরাক বিমানে পাড়ি দিয়ে মিসরে পৌঁছাবেন।
সৌদিতে পৌঁছে তারা প্রথমে মদিনা যাবেন। মদিনা অভিমুখী এই যাত্রায় বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের বিবিধ সমস্যা নিয়ে তারা বিভিন্ন স্থানে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা তৈরির কাজ করছেন। দরিদ্র মুসলমানদের সাহায্য এবং মসজিদ ও শিক্ষাঙ্গন নির্মাণের জন্য বিভিন্ন রকমের তহবিলও সংগ্রহ করছেন।
ইস্তাম্বুলে পৌঁছতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। জুনায়েদ বলেন, ৭ জুন লন্ডন থেকে আমরা নিজেদের বাইসাইকেলে যাত্রা শুরু করি। ৪ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ৬০ দিনের ভেতর আমরা মদিনায় পৌঁছার পরিকল্পনা করছি।
নিজের প্রথম হজযাত্রা সম্পর্কে দলটির সদস্য জাইন লাম্বাত বলেন, বিভিন্ন কারণে এই যাত্রা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের ঈমান ও বিশ্বাসের পথে বেরিয়েছি। যাত্রাপথে বিভিন্ন মহান মানুষদের সঙ্গে আমাদের দেখা হয়েছে। আমাদের অনেক চমৎকার কিছু গল্প রয়েছে। দারুণ কিছু সময় কাটিয়েছি, সারাটা যাত্রাপথ আমাদের ভালোবাসায় আকীর্ণ ছিল। গন্তব্যে যেতে আমাদের জন্য এটি অসাধারণ সময় ছিল।
জাইন বলেন, যদি সত্যিকার অর্থে ও মনে-প্রাণে আপনি হজ করার ইচ্ছে করেন, তাহলে আল্লাহ আপনার জন্য পথ সহজ করে দেবেন।
ইস্তাম্বুলের দোলমাবাহচের প্রেসিডেন্ট দপ্তরে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোয়ান তাদের স্বাগত জানিয়েছেন। তারা জানান, ইস্তাম্বুল ভ্রমণের জন্য দলের সবাই বেশ উদগ্রীব ছিল। তাই ঐতিহ্যের এ শহরে তারা যাত্রাবিরতি করেন।
তবে সাইকেলে করে হজযাত্রা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও আরও কয়েকটি গ্রুপ এভাবে সাইকেলে যাত্রা করে হজ পালন করেছে। গত মাসে চার কেনিয়ান সাইক্লিস্ট এবং দুই সদস্যের একটি দল নাইজেরবি থেকে মক্কার উদ্দেশে দীর্ঘ যাত্রা শুরু করেছেন।
গত বছর ইন্দোনেশিয়ার মুসলমানদের পাঁচ সদস্যের এক পরিবার বাইসাইকেল চালিয়ে মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন হজ পালনের জন্য। ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার মুসলমানদের পাঁচ সদস্যের এক পরিবার বাইসাইকেল চালিয়ে মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন হজ পালনের জন্য।
-এএ