আওয়ার ইসলাম: চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে ইসলামী ঐক্যজোট ও ইসলামী ছাত্র খেলাফত চট্টগ্রাম মহানগর এর যৌথ উদ্যোগে প্রতিবাদী মানববন্ধনে সম্প্রতি চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলে জঙ্গির হিন্দু সংগঠন ইসকন এর উদ্যোগে হিন্দু পূজার রথযাত্রা উপলক্ষে কৃষ্ণ প্রসাদ খাওয়ানো এবং কোমলমতি ছাত্রদের দ্বারা হরে রাম স্লোগান দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গত শুক্রবারের এ মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী ঐক্যজোট চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুফতি মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী বলেন এদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ এই দেশের ইতিহাসে কোন দিন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় নাই হিন্দু মুসলিম খৃষ্টান সহবস্থানে এ দেশের ঐতিহ্য কিন্তু হঠাৎ করে বহির্বিশ্বের কোন এক শক্তিধর রাষ্ট্রের পৃষ্টপোষকতায় ইসকন নামের হিন্দুত্ববাদী জঙ্গি সংগঠনের উৎপত্তি করে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের নিয়ম নীতি ব্যতিরেকে তারা নতুন হিন্দুত্ববাদ সৃষ্টি করে এ দেশে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লাগাতে চাই আমরা তার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ করছি এবং জঙ্গি সংগঠন কে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি মাওলানা রুহি বলেন স্কুল কার্যক্রম আমরা খুবই গুরুত্ব দিয়ে উপলব্ধি করেছি তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ধর্মীয় গোঁড়ামি সরিয়ে হিন্দুদেরকে মুসলমানদের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চাই তারা আগামীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য হুমকি স্বরূপ দেশের অভ্যন্তরে অরাজকতা সৃষ্টি করে দেশকে অকার্যকর এবং সাম্প্রদায়িক বানাতে চাই আমরা তা হতে দিব না।
জনাব রুহি বলেন আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইসকনের এ কুচক্রীদের গ্রেফতার ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে কারণ বাংলাদেশ হাইকোর্টও এ প্রসঙ্গে অন্যায় আখ্যায়িত করেন নিন্দা জানিয়েছে তা না হলে আগামী সপ্তাহে বৃহত্তর কর্মসূচির মাধ্যমে চট্টগ্রাম অচল হয়ে যাবে।
মাওলানা ওসমান কাশেমের সভাপতিত্বে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ওসমান কাসেমী বলেন মুসলমানের কোমলমতি ছেলেমেয়েদের দিয়ে হরে কৃষ্ণ হরে রাম বলাইয়া ইসকন আসলে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে তাই এদের অনবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে না হলে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা প্রশ্নের সম্মুখীন হলে দায় সরকারকে নিতে হবে।
ইসকন বিদেশী প্রভুদের খুশি করার জন্য মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক বীজ বপন করতে চাই। মাওলানা জুনায়েদ জওহর বলেন ইসকন যদি আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে কৃষ্ণপ্রসাদ খাওয়াইতে পারেন তাহলে আগামী কোরবানি তে আমরা হিন্দুদের মন্দিরে গিয়ে গরুর মাংস দিতে পারব না কেন?
তিনি অবিলম্বে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভারতে মুসলিম নির্যাতন এর ব্যাপারে আগামীতে ভারত অভিমুখে লংমার্চ করারও হুমকি দেওয়া হয়।
-এটি