আওয়ার ইসলাম: রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত তাসলিমা বেগম রেনু (৪০) চার বছরের মেয়ের ভর্তির খোঁজ নিতে ওই প্রাইমারি স্কুলে গিয়েছিলেন।
শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে উত্তর বাড্ডার কাঁচাবাজারের সামনের প্রাইমারি স্কুলের গেটে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হন তাসলিমা বেগম।
আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেকে তাসলিমার লাশ সনাক্তের পর তার ভাগনে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে এসব জানান।
এর আগে সকালে উত্তর বাড্ডায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমাকে গণপিটুনি দেয় জনতা।
টিটু জানান, সন্তানকে ভর্তি করাবেন বলে উত্তর বাড্ডার ওই স্কুলে গিয়েছিলেন তার ছোট খালা। সেখানে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে এলাকার লোকজন।
তিনি জানান, মহাখালীর ৩৩/৩ জিপি ওর্য়ালেস গেটের একটি ভাড়া বাসায় দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন তাসলিমা বেগম রেনু। তার স্বামীর নাম তসলিম হোসেন। আড়াই দুই বছর আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকেই মহাখালীতে বসবাস করছেন রেনু।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন গাজী বলেন, নিহতের ভাগনে তার লাশ সনাক্ত করেছেন। এ ঘটনার একটি মামলা থানায় প্রক্রীয়াধীন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢামেকে রয়েছে।
এ ঘটনার ন্যায্যবিচার দাবি করেন টিটু।
আরএম/