আওয়ার ইসলাম: প্রিয়া সাহা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ করায় তার ঢাকার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেছেন একদল যুবক।
শনিবার (২০ জুলাই) দুপুরে ধানমন্ডিতে প্রিয়ার বাড়ির সামনে ‘সচেতন ছাত্র সমাজ’ ব্যানারে প্রথমে ২০-২৫ জন মানববন্ধন করেন।
এতে অংশ নেয়া শিক্ষানবীশ আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, প্রিয়া সাহা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। সংখ্যালঘুদের কথা চিন্তা করে নয়। তার দুই মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। তাদের নাগরিকত্ব পেতেই ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেছেন তিনি। মার্কিন অভিবাসন নীতি অনেক কঠিন। তাই মিথ্যাচার করে নিজের দুই মেয়ের নাগরিকত্ব নেয়ার পথ পরিষ্কার করছেন এ নারী।
প্রিয়া বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ‘শারি’-এর নির্বাহী পরিচালক। এটি বাংলাদেশের দলিত সম্প্রদায় নিয়ে কাজ করে। ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘দলিত কণ্ঠ’ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদকও। তিনি পিরোজপুরের মেয়ে। তার স্বামী মলয় কুমার সাহা দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা। তাদের দুই মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেন।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া শুভ অধিকার বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আমরা সব ধর্মের লোক মিলেমিশে বসবাস করছি। প্রিয়া ট্রাম্পের কাছে এদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু খুন ও গুমের নালিশ করেছেন। আমরা তা মানতে পারিনি। তাই আমাদের অবস্থান জানাতে তার বাসার সামনে দাঁড়িয়েছি।
প্রিয়ার বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ সারাদেশে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। ওই সম্মেলনে অংশ নেয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, প্রিয়া সাহা যে অভিযোগ করেছেন, তা একেবারেই মিথ্যা। বিশেষ মতলবে এমন উদ্ভট কথা বলেছেন তিনি।
তবে এ বিষয়ে প্রিয়ার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, প্রিয়া হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পের কাছে যে অভিযোগ করেছেন, তা একান্তই তার নিজস্ব বক্তব্য, সংগঠনের নয়।
-এএ