ইশতিয়াক সিদ্দিকী
হাটহাজারী প্রতিনিধি
অনতিবিলম্বে প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী ।
অন্যথায়, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে এধরণের দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলাম এ দেশের সর্বস্তরের তৌহিদী জনতাকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবে বলে হুশিয়ারি দেন হেফাজত আমির।
২০ জুলাই (শনিবার) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা সম্প্রতি বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে যে তথ্য প্রকাশ করেছেন তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও গভীর ষড়যন্ত্রমূলক।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের একজন নাগরিক এবং সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী সংখ্যালঘু নেত্রীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মুসলমানদের মৌলবাদী নাম দিয়ে যে কুৎসিত মন্তব্য ও তথ্য দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি তার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
“তার মতে বাংলাদেশ থেকে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ৩ কোটি ৭০ লক্ষ লোক (ডিসঅ্যাপিয়ারড) গুম হয়েছে যার কোন সত্যতা ও প্রমাণ তার কাছে নেই। শুধু তাই নয়, প্রিয়া সাহার এই মন্তব্যটি বাংলাদেশের সর্বোস্তরের তৌহিদী জনতার হৃদয়ে আঘাত করেছে এবং এতে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। রাষ্ট্রের পদে আসিন হয়েও কিভাবে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এমন তথ্য ভিন্ন রাষ্ট্রের কাছে তুলে ধরতে পারে তা বোধগম্য নয় ” যোগ করেন আল্লামা শফী।
হেফাজত আমির আরও বলেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে সম্প্রীতির সাথে সকল ধর্মের লোকেরা একসাথে বসবাস করে আসছে এবং বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এবং তারা এদেশে নিজেদের সাংবিধানিক অধিকার পরিপূর্ণভাবে ভোগ করে আসছে। বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরাম, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে ফান্ডামেন্টালিস্ট বা মৌলবাদী আখ্যা দেয়ার মাধ্যমে তাদের প্রতি এদেশের মুসলমানদের যে অবদান, সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার ইত্যাদি অস্বীকার করে ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ দেখিয়েছে, যাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার চরমপর্যায় বলে মনে হয়।
-এএ