আওয়ার ইসলাম: বন্যার পানিতে ভেঙে যাওয়া তারাকান্দি-ভূঞাপুর সড়ক মেরামতের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও পাউবো যৌথভাগে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছে।
শুক্রবার সকালে ভাঙন পরিদর্শনে আসেন পানিসম্পদ মন্ত্রণায়লের সচিব কবীর বিন আনোয়ার ও ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও ঘাটাইল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারল মিজানুর রহমান শামীম বিপি। তাদের দেয়া দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাসের পরপরই সকাল থেকে সংস্কারের কাজ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতের তীব্র বন্যার পানিতে ভাঙনের কবলে পরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার টেপিবাড়ি এলাকায় ভূঞাপুর-তারাকান্দি বাঁধটি ভেঙে নতুন করে আরও ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তীব্র স্রোতের কারণে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বাঁধটির ভূঞাপুর পৌর এলাকার টেপিবাড়ি নামক স্থানে ভেঙে যায়। ফলে ভূঞাপুর পৌরসভা ও ফলদা ইউনিয়নের সাত/আট গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভূঞাপুরের সঙ্গে তারাকান্দির সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরেই বাঁধটি হুমকির মুখে থাকায় সেটি মেরামত করার তৎপরতা চললেও হঠাৎ করেই রাতে বাঁধের টেপিবাড়ি অংশে ভেঙে যায়।
জেলা প্রশাসনের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানায়, যমুনা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিপদসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে টাঙ্গাইল সদর, ভূঞাপুর, গোপালপুর, কালিহাতী, নাগরপুর, দেলদুয়ার উপজেলার প্রায় ১১১টি গ্রামের তিন লক্ষাধিক মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি প্রবেশ করায় এসব এলাকার ৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মুহা. শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের আহ্বানে সেনাবাহিনী বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছে। সকালে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার, ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি পরিদর্শন করেছেন।
-এএ