আওয়ার ইসলাম: তেরো নদীর তেইশ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর।
আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে পরের আটচল্লিশ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র, যমুনার পানি আরও বাড়বে। সেইসঙ্গে গোয়ালন্দ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছাড়াবে পদ্মার পানি। এতে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র।
গাইবান্ধার বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল যমুনার পানি। যা গত ত্রিশ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে।
জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার কুড়িগ্রাম ও চিলমারিতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বন্যা। যমুনা অববাহিকার সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও জামালপুরে নদীর পানি বিপদৎসীমার ওপরে। চিলমারী, ফুলছড়ি ও বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদৎসীমার প্রায় এক মিটার ওপরে রয়েছে যমুনার পানি। আগামী কয়েক দিনে কুড়িগ্রাম, জামালপুর ও গাইবান্ধার পরিস্থিতি হবে আরও নাজুক।
এদিকে যমুনার প্রভাবে টাঙ্গাইলের ধলেশ্বরী নদীর রাসেলঘাট পয়েন্টে পানি কুল ছাপিয়ে গেছে। এতে মানিকগঞ্জেও হবে বন্যা। এদিকে পদ্মা নদীও ফুঁসে উঠেছে। মুন্সিগঞ্জের ভাগ্যকূল ও ফরিদপুরে গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপরে যাবে বলে সতর্ক করেছে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র।
অন্যদিকে, আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী দুই-তিন দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে বঙ্গোপসাগরে সম্ভাব্য নিম্নচাপের কারণে এরপর সারাদেশে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
বন্য পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, সুনামগঞ্চ, সিলেট, মৌলভিবাজারের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। সেই সঙ্গে সাঙ্গু, মাতামুহুরীর পানি কমতে শুরু করায় চট্টগ্রামের পরিস্থিতি উন্নতি উন্নতির দিকে।
-এটি