বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী

ঈদুল আজহা পর্যন্ত পশু আমদানি নিষিদ্ধ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশে কোরবানি যোগ্য প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ গবাদিপশুর মজুদ করা হয়েছে। দেশের পশুবিক্রেতাদের স্বার্থে ঈদুল আজহা পর্যন্ত সীমান্তপথে বৈধ-অবৈধ সকল প্রকার গবাদি পশুর আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় ঈদুল আজহার পশুর সংখ্যা নিরুপণ, কোরবানির হাটবাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর ক্রয়-বিক্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা, বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পশুর গাড়ি ছিনতাইরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভায় জানানো হয়, দেশ মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পর থেকে ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। আগে প্রতিবছর ২৪-২৫ লাখ ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ ঘটলেও ২০১৮ সালে মাত্র ৯২ হাজার গরু ঢুকেছে দেশে।

সভায় দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এবার সারাদেশে কোরবানিযোগ্য ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু-মহিষ, ৭২ লাখ ছাগল-ভেড়া এবং ৬ হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশুর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। ঈদুল আজহায় ১ কোটি ১০ লাখ পশুর কোরবানি হতে পারে। গত বছর ঈদে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মোট সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ এবং কোরবানি হয়েছিল ১ কোটি ৫ লাখের মতো পশু।

আসন্ন ঈদে ঢাকাসহ দেশের উল্লেখযোগ্য হাটবাজারে পশুর স্বাস্থ্যসেবার লক্ষে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম মজুদ থাকবে। ঢাকায় দুটি সিটি কর্পোরেশনের আওতায় মোট ২৪টি স্থায়ী-অস্থায়ী কোরবানির হাটবাজারেও দুটি করে ভেটেরিনারি টিম কাজ করবে। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ১৪টি এবং উত্তরের অধীনে মোট ১০টি হাটবাজার বসবে এবার। স্বাস্থ্যহানিকর স্টেরয়েড ও হরমোন ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে গরু মোটতাজাকরণ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্যসম্মত মোটাতাজাকরণকে উৎসাহিত করতেও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো কাজ করবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডিজি হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি নাথুরাম সরকারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ