আওয়ার ইসলাম: প্রাণসহ বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ১১ কোম্পানির পাস্তুরিত দুধে গ্রহণযোগ্য মাত্রার চাইতে অতিরিক্ত সীসার উপস্থিতি কথা জানিয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বাজারে বিক্রি হওয়া খোলা দুধের নমুনায় ক্যাডিমিয়ামের উপস্থিতি পাওয়া গেছে তাদের প্রতিবেদনে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এ প্রতিবেদন বিচারপতি মুহা. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বিসিএসআইআর, প্লাজমা প্লাস, ওয়াফেন রিসার্চ, পারমাণু শক্তি কমিশন ও আইসিডিডিআরবির ল্যাবে পাস্তুরিত দুধ, খোলা দুধ ও গোখাদ্য পরীক্ষা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
সেই পরীক্ষায় বিএসটিআইয়ের অনুমোদিত ১৪টি কোম্পানির মধ্যে ১১টির পাস্তুরিত দুধে সীসা পাওয়া গেছে।কোম্পানিগুলো হল, প্রাণ মিল্ক, মিল্কভিটা, ডেইরি ফ্রেশ, ইগলু, ফার্ম ফ্রেশ, আফতাব মিল্ক, আল্ট্রা মিল্ক, আড়ং ডেইরি, আইরান, পিউরা, সেইফ মিল্ক।
শুনানি শেষে আদালত আদেশে বলেন, ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সে বিষয়ে আগামি ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দিতে হবে।
এছাড়া পশু চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোনো ফার্মেসি অ্যানিমেল অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বা বিতরণ করতে পারবে না।
কোনো খামারি বা কেউ প্রেসক্রিপশন ছাড়া গবাদিপশুকে অ্যান্টিবায়োটিক দিতেও পারবে না। আদেশের পাশাপাশি একটি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে দুধের দূষণ পরীক্ষা ও গবেষণায় বিএসটিআই নিবন্ধিত দুধ কোম্পানিগুলোকে একটি তহবিল গঠন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিএসটিআই এবং দুধ উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত কোম্পানিগুলোকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
-এএ