আওয়ার ইসলাম: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, কুমিল্লার আদালতে এক আসামি অপর আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনার পর দেশের সব আদালতের নিরাপত্তা আরো বাড়ানো হবে।
আমি আজ কুমিল্লার এসপির সঙ্গে কথা বলেছি। আদালতের নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যবস্থা করব। সেটা শুধু কুমিল্লার আদালতের না, ৬৪ জেলার আদালতের নিরাপত্তা বাড়াব।
আজ মঙ্গলবার ডিসি সম্মেলন উপলক্ষে সচিবালয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের কার্যঅধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনার জন্য পাবলিক প্রসিকিউশন সার্ভিসের ৩০ শতাংশ স্বাধীন করা হবে। সেই সঙ্গে আদালতের আইন কর্মকর্তাদের (পিপি-জিপি) বেতনের আওতায় আনা হবে। আমি এ প্রস্তাব অলরেডি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার চাওয়ার বিষয়ে আমি বলেছি, এই ক্ষমতা দেয়ার জন্য আইন সংশোধন করতে হবে। আইন সংশোধন করতে হলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দেখা হবে প্রয়োজন কি-না।
প্রসঙ্গত, সোমবার কুমিল্লার অতিরিক্ত তৃতীয় দায়রা জজ আদালত কক্ষে বিচারক ফাতেমা ফেরদৌসের উপস্থিতিতে হত্যা মামলার শুনানি শুরু হয়। শুনানি চলাকালে এক আসামি অপর আসামিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। দুই আসামিই সম্পর্কে চাচাতো ভাই। ২০১৩ সালের হাজী আবদুল করিম হত্যা মামলার শুনানির দিন ছিল সোমবার।
পুলিশ জানায়, সোমবার জেলার মনোহরগঞ্জ থানার হাজী আবদুল করিম হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে আসে হাসান ও ফারুক। বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস এজলাসে বসলে শুরু হয় আদালতের কার্যক্রম। শুনানি শুরু হলে আইনজীবীরা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করছিলেন।
এমন সময় হাসান কাঠগড়ায় দাঁড়ানো আসামি ফারুককে একের পর এক আঘাত করতে থাকে। কিল-ঘুষির সঙ্গে ফারুকের ওপর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে সে। আদালত কক্ষে সবাই অবাক বিস্ময়ে সেদিকে তাকিয়ে থাকেন। তারা বুঝে উঠতে পারছিল না, আসলে কী হতে যাচ্ছে। আদালত কক্ষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে পুলিশ হাসানকে আটক করে। পুরো ঘটনা বিচারকের সামনেই ঘটে। উপস্থিত আইনজীবী এবং তাদের সহকারীরা ফারুককে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
-এএ