আওয়ার ইসলাম: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির এবং পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে মামলার অনুমোদন দিয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে দুদক পরিচালক শেখ মুহা. ফানাফিল্ল্যা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ফরেনসিক পরীক্ষায় কথোপকথন, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি ও প্রমাণাদি দুই কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এসবের ভিত্তিতেই কারারুদ্ধ ডিআইজি মিজান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরকে আসামি করে মামলা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুদক পরিচালক এনামুল বাছির ঘুষ গ্রহণ করেছেন, এটা অডিও রেকর্ডে প্রমাণ আছে। অন্যদিকে ডিআইজি মিজান নিজেই ঘুষ দেয়ার কথা প্রকাশ্যে বলেছেন। দুদক মনে করছে, এর মাধ্যমে ডিআইজি মিজান নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিজেই প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
দু’জনই ঘুষ লেনদেনে জড়িয়েছেন, যা দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬৫(১), ১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) (ক্ষমতার অপব্যবহার) ধারায় অজামিন ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মিজান দুদকের মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন। ঘুষ লেনদেন মামলায় এবার সাময়িক বরখাস্ত এনামুল বাছিরকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হতে পারে।
এদিকে ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে ডিআইজি মিজান এবং দুদকের পরিচালক বাছিরকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দুদক মিজানকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সম্মেলন কক্ষে এবং বাছিরকে পুলিশ সদর দফতরে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
-এএ