আওয়ার ইসলাম: টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। বন্যায় জেলার সাতটি ৪৭ উপজেলায় ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে বন্যা কবলিত এলাকার ৮০ হাজার পরিবারের পাঁচ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ১৬ সেন্টিমিটার বেড়ে মঙ্গলবার সকালে যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করা জেলার ৪৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাছ চাষের পুকুর, গরুর খাবার, ফসলের মাঠ। বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
পানি বৃদ্ধির কারণে বন্যা কবলিত এলাকায় ৩০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে, জামালপুরে বন্যা কবলিত এলাকায় ৮০ হাজার পরিবারের পাঁচ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুকনো খাবারের প্রয়োজনের পাশাপাশি শিশু খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে চর্ম রোগ এবং শিশুদের ঠাণ্ডা ও সর্দি জ্বর।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত অসহায় মানুষদের জন্য ৬৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে। শুকনো খাবার ২ হাজার প্যাকেট ও প্রতি উপজেলায় দুটি করে মেডিকেল টিম দেয়া আছে।
তবে বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের দাবি, তাদের কাছে এখনো ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছায়নি। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা বলছে, বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যার চেয়ে ত্রাণের পরিমাণ কম থাকায় সবাইকে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
-এএ