বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী

খুলনায় গণধর্ষণের পর বাবাসহ হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: খুলনায় এক্সিম ব্যাংকের কর্মকর্তা পারভীন সুলতানাকে গণধর্ষণ শেষে বাবা ইলিয়াছ চৌধুরীসহ তাকে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ আদালতের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- খুলনার লবণচরা থানাধীন বুড়ো মৌলভীর দরগা রোডের বাসিন্দা শেখ আব্দুল জলিলের ছেলে সাইফুল ইসলাম পিটিল (৩০), তার ভাই শরিফুল (২৭), আবুল কালামের ছেলে লিটন (২৮), অহিদুল ইসলামের ছেলে আবু সাঈদ (২৫) ও মৃত সেকেন্দারের ছেলে আজিজুর রহমান পলাশ (২৬)। এদের মধ্যে শরিফুল পলাতক রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ। এছাড়া তাকে সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার জেলা সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. মোমিনুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট কাজী সাব্বির আহমেদ।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর লবণচোরা থানার বুড়োমৌলভীর দরগাপাড়া রোডের বাড়িতে ঢুকে প্রথমে ইলিয়াছ চৌধুরীকে হত্যা করে আসামিরা। এরপর পারভীন সুলতানাকে ধর্ষণের হত্যা করে। তারপর তাদের দুজনের লাশ বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে লুকিয়ে রাখে।

আসামিরা ওই বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ বেশ কিছু মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। পারভীন তাকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটায়।

নিহত ইলিয়াছ চৌধুরীর ছেলে রেজাউল আলম চৌধুরী বিপ্লব বাদী হয়ে ২০ সেপ্টেম্বর লবণচরা থানায় হত্যা এবং ২২ সেপ্টেম্বর ধর্ষণ মামলা করেন। ২১ সেপ্টেম্বর আসামি মো. লিটন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এছাড়া আরেক আসামি সাঈদও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লবণচরা থানার এসআই কাজী বাবুল ২০১৬ সালের ২৪ মার্চ ধর্ষণ মামলায় এবং ৯ মে হত্যা মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। হত্যা মামলায় ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জন ও ধর্ষণ মামলায় ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ