আওয়ার ইসলাম: ফারাও স্নেফেরুর শাসনামলে নির্মিত প্রায় চার হাজার ৬০০ বছরের পুরনো 'বেন্ট' পিরামিড ৫৪ বছর পর পর্যটকদের জন্য খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মিশরের রাজধানী কায়রোর দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ১০১ মিটার উঁচু প্রাচীন এই পিরামিডটি স্থাপত্য বিবর্তনের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে।
১৯৫৬ সাল পর্যন্ত পিরামিডটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্তই ছিল, যদিও ১৯৬৫ সালে মেরামতের কথা বলে সেটিকে বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ অর্ধশত বছরের বেশি সময় পর আবারও ৭৯ মিটার লম্বা, সংকীর্ণ সুড়ঙ্গ পেরিয়ে 'বেন্ট' পিরামিডের অভ্যন্তরে প্রবেশের সুযোগ পাবেন পর্যটকরা।
পিরামিডটির পাশেই রয়েছে ১৮ মিটার উঁচু আরও একটি ছোট পিরামিড। বিশ্লেষকদের ধারণা, সেটি সম্ভবত স্নেফেরুর স্ত্রী হেতেফেরেসের স্মৃতিতে নির্মাণ করা হয়েছিল। পর্যটকদের জন্য এবার সেটিকেও খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পুরাতাত্ত্বিকদের মতে, ব্যাপক কারুকার্যের মাধ্যমে নির্মাণ করা হয় দাহশুর শহরের এই 'বেন্ট' পিরামিড। প্রায় ৪৯ মিটার অবধি চুনাপাথরের সিঁড়ি; যদিও সেটির খাড়াই প্রায় ৫৪ ডিগ্রি পর্যন্ত! উত্তরে স্নেফেরুর লাল পিরামিডের সমান দেওয়ালের সঙ্গে এর কোনো সাদৃশ্যই নেই, বরং এর কৌণিক অবস্থানই সবার নজর কাড়ে।
১৯৫৬ সালে বড় একটি ফাটল দেখা দেওয়ার পর 'বেন্ট' পিরামিডের কৌণিক অবস্থান পরিবর্তনে বাধ্য হন পুরাতাত্ত্বিকরা। বিশেষজ্ঞ মুস্তাফা ওয়াজিরির মতে, এ বেন্ট পিরামিডের মধ্যেই কোথাও সম্ভবত স্নেফেরুকে সমাহিত করে রাখা হয়েছে। তবে সেটি ঠিক কোথায় তা আমরা এখনও খুঁজে পাইনি।
অতি প্রাচীন এ পিরামিডটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার অন্যতম কারণ, সভ্যতা মণ্ডিত এ দেশটির পর্যটন খাতে উৎসাহ বৃদ্ধি করা। কায়রো থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দক্ষিণের শহর দাহশুরে কখনও পর্যটকের পা প্রায় পড়ে না বললেই চলে; অথচ এখানেও রয়েছে বিস্ময় সৃষ্টিকারী বেশ কিছু প্রাচীন স্থাপত্য। এবার সেগুলিকেই তুলে ধরতে এমন পদক্ষেপ বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
-এটি