আওয়ার ইসলাম: পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্ট পরীক্ষার কোনো পদ্ধতিই নেই বিএসটিআই’য়ের। এছাড়া ১৭ বছর আগে নির্ধারিত ৯টি প্যারামিটার ধরে দুধ পরীক্ষা করে আসছে বলেও জানান। গবেষক অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের রিপোর্ট নিয়ে শুনানিতে এ কথা জানান তারা।
রোববার (১৪ জুলাই) হাইকোর্টে এ কথা স্বীকার করেছেন সংস্থাটির আইনজীবী। বিসিএসআই ও আইসিসিডিডিআরবিসহ ৪টি ল্যাবে পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষার নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।
পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক, ডিটারজেন্টের অস্তিত্ব রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আ ব ম ফারুকের গবেষণা রিপোর্টের এমন তথ্য নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা চলছে। গতকাল আ ব ম ফারুকের দুটি রিপোর্ট নিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা শুনানি হয় উচ্চ আদালতে।
শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী জানান, ১৯টি প্যারামিটার ধরে যে গবেষণা রিপোর্ট তৈরি করেছেন আ ব ম ফারুক তা আন্তর্জাতিক মানসম্মত। এদিন বিএসটিআ ‘য়ের আইনজীবী স্বীকার করেন, দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টের অস্তিত্ব পরীক্ষার কোনো পদ্ধতি তাদের নেই।
পরে আদালত বিসিএসআইআর, আইসিডিডিআরবিসহ ৪টি ল্যাবে পুনরায় পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষার নির্দেশ দেন। এসব ল্যাবে দুধে অ্যান্টিবায়োটিক, ডিটারজেন্ট পরীক্ষা করতে সক্ষম।
এদিকে দুধ এবং দুগ্ধজাত খাদ্যপণ্য পরীক্ষায় ১৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিএসটিআই। সংস্থাটির গবেষণা প্যারামিটার আরো যুগপযোগী করতে এ কমিটি কাজ করছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটির আইনজীবী। আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষার রিপোর্ট দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য পরীক্ষায় উন্নত দেশগুলোতে ২৩ থেকে ৩০টি প্যারামিটার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যদিও রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিএসটিআই অনুসরণ করে ৯টি প্যারামিটার।
-এএ