আওয়ার ইসলাম: রিফাত শরীফ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে টিকটক হৃদয় ও রাতুল সিকদার। এখন পর্যন্ত রিফাত হত্যা মামলায় ৯জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
রোববার বিকেলে তাদেরকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করা হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা বিচারকের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ূন কবির জানিয়েছেন, রিফাত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয়কে গত ৩ জুলাই প্রথমবারের মতো ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। ১০ জুলাই পুনরায় তাকে আদালতে হাজির করে আরও ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। বিচারক পুনরায় তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল।
তিনি বলেন, রোববার আদালতে হাজির করা হলে সে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ূন কবির বলেন, সন্দেহভাজন আসামি রাতুল সিকদারকে ১১ জুলাই গ্রেফতারের পরে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। রাতুলও রোববার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
এর আগে ১ জুলাই মামলার এজাহারভুক্ত ১১ নম্বর আসামি অলি ও তানভীর, ৪ জুলাই রাতে মামলার ৪ নম্বর আসামি চন্দন ও ৯ নম্বর আসামি মো. হাসান, ৫ জুলাই রাতে মো. সাগর ও নাজমুল হাসান এবং ১০ জুলাই রাতে রাফিউল ইসলাম রাব্বী আদালতে হাজির হয়ে বিচারকের সামনে রিফাত শরীফ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
বরগুনার পুলিশ সুপার মুহা. মারুফ হোসেন জানিয়েছেন, রিফাত হত্যা মামলায় রোববার পর্যন্ত ১৪ জন আসামি গ্রেফতার হয়েছে। প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজীকে ৩ জুলাই রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। রিফাত ফরাজীকে ৭ দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অস্ত্র মামলায় আরও ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
আগামী মঙ্গলবার রিফাত ফরাজীর ১৪ দিনের রিমান্ড শেষ হবে। কামরুল হাসান সাইমুনকে চার দফায় ১৬ দিন ও আরিয়ান শ্রাবনকে দুই দফায় ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
-এএ