আওয়ার ইসলাম: এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বের দেশগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ জনে। আহত হয়েছে ৩৮ জন, এখনো নিখোঁজ আছেন ৩০ জন।
ভারতের হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টিতে তিনতলা ভবন ভেঙে ৭ সেনা কর্মকর্তাসহ আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আসাম ও বিহারে বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে মিয়ানমারেও।
ভারতের আসামে এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র আর গঙ্গাসহ বেশ কিছু নদীর পানি বইছে বিপৎসীমার ওপরে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩ জেলার ২৬ লাখ মানুষ। নিচু এলাকা থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের।
ত্রিপুরা ও মিজোরামেও বন্যার কারণে ১৫ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বিহারে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯ জেলার প্রায় ১৮ লাখ মানুষ। ১৫২টি আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ। আগামী চারদিনও বিহারে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। বিপদসীমার ওপরে বইছে অন্তত ৫টি নদীর পানি।
এদিকে, ভারী বৃষ্টিতে হিমাচল প্রদেশের সোলান জেলায় রোববার বিকালে তিনতলা একটি ভবন ভেঙে হতাহতের ঘটনা ঘটে। কুমারহাট্টি এলাকার ঐ ভবনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি অনুষ্ঠান চলছিল। ধ্বংসস্তুপে ১২ সেনা কর্মকর্তাসহ অনেকে আটকা পড়েন। উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি দল।
গত বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নেপালের ২৪ জেলা। ঘটছে ভূমিধসের ঘটনা, বাড়ছে প্রাণহানি। বাগমতি, কমলা ও সপ্তকশি নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে বইছে। আরো দুই-তিনদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার পুলিশ।
হিমালয়ের ঢলে চিন্দুইন নদীর পানি বাড়ায় বন্যার শংকা দেখা দিয়েছে মিয়ানমারেও। টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে রাখাইনের কিছু অংশ। নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে কয়েক হাজার মানুষকে। এদিকে, চীনের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১ জনে। জরুরি সহায়তা প্রয়োজন অন্তত ৬ লাখ মানুষের।
-এটি