আওয়ার ইসলাম: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জীবনাবসান হয়েছে। তার মৃত্যুর পর এরশাদের অবর্তমানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও উপনেতা—এই তিন পদ নিয়ে নতুন করে আলোচনায় সূত্রপাত হয়েছে। দলের নীতি-নির্ধারণী কমিটিতে কোনো যোগ-বিয়োগ হচ্ছে কিনা সে বিষয়েও আলোচনা উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৪ জুলাই, রবিবার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তা
সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা। বিরোধী উপনেতা হলেন এরশাদপত্মী রওশন এরশাদ। আবার এইচ এম এরশাদ জীবিতকালে ছোট ভাই জি এম কাদেরকে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেছেন। জাপায় জি এম কাদের ও রওশন এরশাদের বিরোধ পুরনো।
প্রথমে জি এম কাদেরকে জাপার কো-চেয়ারম্যান করায় ক্ষুব্ধ হন রওশন এরশাদ। সে সময় রওশন এরশাদকে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান করে পরিস্থিতি সামাল দেন এরশাদ। এখন এরশাদ নেই। এ অবস্থায় রওশন এরশাদকে জাপার চেয়ারম্যান দেখতে চান তার অনুসারীরা। শেষ পর্যন্ত এই পদে হয়তো জি এম কাদেরই টিকে যাবেন। সে ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পদ নিয়ে।
দলীয় ঐক্যের স্বার্থে জি এম কাদের ওই পদ গ্রহণ না করে রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে মেনে নিতে পারেন বলে জাপার একটি সূত্র জানায়। তবে সে ক্ষেত্রে তীব্র জটিলতা দেখা দিতে পারে বিরোধীদলীয় উপনেতার পদ নিয়ে।
রওশন এরশাদ বিরোধীদলীয় উপনেতার পদ ছেড়ে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত হলে উপনেতা পদের দাবিদার আছেন দুজন। এঁরা হলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা ও সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ। এ দুজন কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন। সে ক্ষেত্রে উপনেতা নির্বাচনের বিষয়টি শেষ পর্যন্ত গড়াতে পারে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সভা পর্যন্ত।
জাতীয় পার্টির একটি সূত্র জানায়, জাপার সংসদীয় দলে রওশনপন্থীরাই বেশি। শেষ পর্যন্ত উপনেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় বিভক্ত হয়ে পড়তে পারে জাতীয় পার্টি—এমন আশঙ্কা বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার।
আরএম/