জুনায়েদ হাবীব, চট্রগ্রাম প্রতিনিধি: ধর্ষণ ও হত্যার দ্রুত বিচারসহ নয় দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। (১৩ জুলাই)বেলা সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম ওয়াসার মোড়ে চট্টগ্রাম সচেতন শিক্ষার্থীর ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
সকাল ১০টায় প্রতিকূলতার আবহাওয়া কে পিছ ফেলিয়ে আন্দোলনে অলশ নিতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা" শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি টের পেয়ে রাতে বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহীনি মোতায়েন করা হয়।
এর আগে ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আন্দোলন কর্মসুচির ডাক ছাত্র সমাজ। তবে সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব কারীরা ১২ তারিখ দিবাগত রাতে আন্দোলন থেকে সরে আসলে। সরেননি সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে গতকাল রাতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে না নামার কঠোর হুশিয়ারি দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী থানার ওসি মহসিন নিজের ফেসবুকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুল পেইজে বিষয়টি স্ট্যাটাসের মাধ্যমে নিশ্চিন করেন
সচেতন ছাত্র সমাজের সদস্য প্রান্ত ভট্টাচার্য বলেন, সারাদেশে চলমান ধর্ষণে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত সময়ে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে
সচেতন ছাত্র সমাজের সদস্য নিলয় দে বলেন, সারাদেশেধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটছে। আমরা এসব নির্মমহত্যাকান্ডের বিচার চাই এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চাই।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া বলেন, আমরা নারী হিসেবে সমাজে অনেকটা লাঞ্চনার শিকার হই। ইতোমধ্য চট্টগ্রামের কয়েকটি স্কুল ও কলেজে বোরকা কে নিষিদ্ধ ঘোষনা করছে সংশ্লিষ্টরা। এগুলো খুবই নেক্কারজনক। তাই এসব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হওয়া চাই।
৮ দফা দাবিগুলো হলো-
পূর্বের সকল ধর্ষণ ওহত্যাকান্ডের দ্রুত সময়ে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে, প্রতিটি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এমনকিএলাকাতেও মেয়েদের জন্য সেল্ফ টিচিং কেন্দ্র এবংতাদের জন্য একটা সামাজিক টিম গঠন করতে হবে, সেখানে কোনো মেয়ের ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র সমস্যাওজানানোর ব্যবস্থা করতে হবে, রাস্তাঘাট কিংবা অন্যকোথাও মেয়েদের ইভটিজিং করা হলে তাকে অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনতে হবে, মেয়েদের জন্য আলাদা বাস/টেম্পু সার্ভিস চালু করতে হবে, ধর্ষণের বিচার ১ মাসের মধ্যে সম্পাদন করতে হবে, সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপিত হওয়ার পর অবিলম্বে তাদের ফাঁসি দিতে হবে, দোষীদের কোনোভাবেই জামিন দেওয়া যাবেনা, যে বিচারক জামিন দিবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে,কোনো নারীকে ধর্ষণ করা হলে তাকে রাষ্ট্র থেকে সহায়তা প্রদান করতে হবে, কাউকে হত্যা করা হলে ওই হত্যাকারীর সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রদান করতে হবে, ধর্ষণকারী ও হত্যাকারীর পক্ষে কোনো কর্মকর্তা সাফাই দিলে কিংবা তার/তাদেরহাতে বিচার ন্যস্ত হয়েছে, কিন্তু তারা দায়িত্বে অবহেলা করেছে এমন হলে তাকে/তাদেরকে আজীবনের জন্য বহিস্কার এবং তাকে/তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে, সকল মহিলা মাদ্রাসা, স্কুল এবং কলেজ এ মহিলা শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
আরএম/