মু. আতাউর রহমান আলমপুরী: খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় ও ভারতের সাব্রুম এলাকায় ফেনী নদীতে নির্মানাধীন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু (১) এর চলমান নির্মান কাজ, স্থলবন্দর এলাকা এবং মহামুনি বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস।
গতকাল রোববার (১৬ জুন) বেলা ১১টার সময় হাই কমিশনার তার সফর সঙ্গীদের নিয়ে রামগড় স্থলবন্দর এলাকায় এসে পৌছলে তাকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানান খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ও জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম।
সেতু পরিদর্শন শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি সাংবাদিকদের বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী সেতু ও স্থলবন্দর কার্যক্রমের মধ্যেদিয়ে বাংলাদেশ-ভারত যেমনিভাবে বানিজ্যিক সুবিধা পাবে তেমনি দুই দেশের মধ্যে একটি ভাতৃত্বের সেতুবন্ধনও তৈরী হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল তারিকুল হাকিম, স্থানীয় সাংসদের সহধর্মিনি কুজেন্দ্র মল্লিকা ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম সালাউদ্দিন, জেলা পরিষদ সদস্য মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদিপ কার্বারী প্রমুখ।
ভারতীয় হাইকমিশনারের সফর সঙ্গী হিসেবে সাথে ছিলেন, ডেপুটি কমিশনার (চট্টগ্রাম) অনিন্দ্র ব্যানার্জি, ভারতীয় ন্যাশনাল হাইওয়ের জিএম দিল ভাকসিং, ফাষ্ট সেক্রেটারী নবনিতা চক্রবর্তী সহ জাতীয় ও স্থানীয় সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দল।
পরে রামগড় পাহাড়ীঞ্চঁল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে দুপুরের খাবার শেষে তিনি ঢাকার উদ্দেশ্য রওয়ানা হোন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৬জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ঢাকাতে সেতুটির ভিক্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৪.৮০ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মাণে ব্যায় ধরা হয়েছে ৮২.৫৭ কোটি ভারতীয় রোপী। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে সেতুটি নির্মান কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
-এএ