সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের ‘হুঙ্কার’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: তেলের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে ইরানকে দোষারোপ করে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না। তবে যেকোনো হুমকি অথবা হামলা মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।’

সম্প্রতি ওমান উপসাগরের হরমুজ প্রণালিতে জাপান ও নরওয়ের মালিকানাধীন দু’টি তেলের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ওই ঘটনায় ইরানকে অভিযুক্ত করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য আসারপর সৌদি আরবের পক্ষ থেকেও একই ধরনের অভিযোগ এলো।

সৌদি আশরাক আল-আউসাত পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, ‘জাপানি প্রধানমন্ত্রীর তেহরান সফরকে ভালোভাবে নেয়নি ইরান। এর ক্ষোভ প্রকাশে দুটি তেলের ট্যাঙ্কারে হামলা চালায় তারা, যার একটি ছিল জাপানের।’

সৌদি তেলের ট্যাঙ্কারে হামলার জন্য ইরান ও ইয়েমেনের আনসারুল্লাহকে দায়ী করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দেয় রিয়াদ।

এদিকে তেলের ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণের ঘটনায় ইরানকে অভিযুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির মিত্ররা। বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, ওই হামলায় কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে গোয়েন্দারা তা খতিয়ে দেখছেন। এটি খুঁজে বের করা হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এমন একটি ভিডিও ফুটেজ আছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড ক্ষতিগ্রস্ত একটি তেলের ট্যাঙ্কারের একপাশ থেকে একটি অবিস্ফোরিত মাইন বা বোমা সরিয়ে নিচ্ছে।

তবে এ অভিযোগ‘ ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়ে শুক্রবার জাতিসংঘের ইরানি মিশন একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়, ওই বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে তেহরানের কোনো সম্পর্ক নেই। তেলের ট্যাঙ্কারে তারা হামলা চালায়নি।

১৩ জুন বৃহস্পতিবার জাপানি কোকুকা এবং নরওয়ের ফ্রন্ট আল্টেয়ায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ট্যাঙ্কার দুটি থেকে ৪৪ জন ক্রুকে উদ্ধার করার দাবি করে ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্র।

মাসখানেক আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দরে চারটি তেলের ট্যাঙ্কারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সৌদি আরবের দুটি এবং আমিরাত ও নরওয়েরর একটি করে ট্যাঙ্কার রয়েছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ