আওয়ার ইসলাম: রেল ও নৌপথে মোট ২১২ টি দুর্ঘটনায় ২৪৭ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে শুধু সড়কেই মারা গেছেন ২২১ জন জন। এসব সড়কে দুর্ঘটনায় মোট আহতের সংখ্যা ৬৫২ জন । যাদের মধ্যে পঙ্গু হয়েছেন ৩৭৫ জন।
আজ বুধবার (১২ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জি এম কামরুল ইসলাম।
তিনি জানান, বিভিন্ন হাসপাতাল ও গণমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ৩০ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত মোট ১২ দিনের এই চিত্র দেখতে পান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১২ দিনে সড়ক ও মহাসড়কে ১৮৫ টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২২১ জনের। এতে আহত হয়েছে আরও ২৪৭ জন।
এছাড়া নৌপথে পাঁচটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের ও আহত হয়েছে আরও ১২ জন। এদিকে, একই সময়ে রেলপথে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের।
এরমধ্যে ৫১ টি গাড়িচাপায়, ৮১ টি সংঘর্ষে, ১৯ টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ও অন্যান্য কারণে ৩৪ টি দুর্ঘটনা ঘটে।
এসব দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ঈদকেন্দ্রিক অতিরিক্ত যাত্রী চাপ, চালকদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ও অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, অদক্ষ চালকের কাছে দৈনিক চুক্তিতে যানবাহন ভাড়া দেওয়ার বিষয়গুলোকেই দায়ী করছে সংগঠনটি।
এছাড়া ফিটনেসবিহীন গাড়িতে যাত্রী বহন, মহাসড়কে ধীর গতির যান যেমন নসিমন করিমন ও অটোরিক্সা চলাচল, ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতাও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী বলে অভিযোগ করেছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
এ সময় দুর্ঘটনা রোধ ও কমাতে যাত্রী কল্যান সমিতির পক্ষ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী জানানো হয়। বিশেষ করে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেওয়া ও সড়ক বাঁক সোজা করার সুপারিশ জানান তারা।
এছাড়া মহাসড়কে ধীর গতির যানবাহন বন্ধে সরকারের নেওয়া উদ্যোগের যথাযথ বাস্তবায়ন ও ঈদযাত্রায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার স্টাফবাসগুলোকে ব্যবহারের পরামর্শও দেন তারা।
-এটি