আওয়ার ইসলাম: আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১০ বছরের শাসনামলে বর্তমানে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি চাপে বলে দাবি করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মতামত তুলে ধরেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তার এই মূল্যায়নের পেছনে তিনটি প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন তিনি। এর একটি হলো অপর্যাপ্ত বিনিয়োগ, বৈদেশিক লেনদেনে ঘাটতি এবং ব্যাংক খাতে দুর্বলতা।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে সামনে রেখে অর্থনীতির পর্যালোচনা তুলে ধরতেই গণমাধ্যমকর্মীদের আমন্ত্রণ জানায় সংস্থাটি।
দেবপ্রিয়র মতে, গত ১০ বছরে অর্থনৈতিক অগ্রগতি ‘সীমান্ত রেখায়’ এসে পৌঁছেছে। প্রবৃদ্ধির হার ও মাথাপিছু আয়ে ভালো থাকলেও ব্যক্তি বিনিয়োগ, শিল্পায়ন, রপ্তানির ক্ষেত্রে, মাতৃ মৃত্যুর হার বা সামাজিক উন্নয়নে আশানুরূপ উন্নতি হচ্ছে না। প্রবৃদ্ধির সঙ্গে উন্নয়নের অন্যান্য সূচকগুলো বেমানান।
সিপিডি ফেলো বলেন, ‘বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা অর্থনীতির একটি শক্তি ছিল। সেই শক্তিতে চিড় ধরেছে, দুর্বলতা দেখা দিয়েছে। কর আহরণে অপারগতা এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের একটা অমোচনীয় প্রতিবন্ধকতায় পরিণত হয়েছে।’
এ পরিস্থিতির উত্তরণ না হলে উন্নয়নের অভিলাস পূরণে বিনিয়োগের সুযোগ কম হবে। অন্য উৎস থেকে বিনিয়োগ করার চেষ্টা হলে সামষ্টিক অর্থনীতির দুর্বল পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলেও মনে করেন সিপিডি ফেলো।
কর, উন্নয়ন অর্থায়ন, বাস্তবায়ন এবং ঘাটতির উপর চাপগুলো দৃশ্যমান হচ্ছে বলেও মনে করে সিপিডি। দেবপ্রিয় বলছেন, সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝোঁকাই এর প্রমাণ। এর ফলে সরকারের দায় দেনা বাড়ছে। অপরদিকে মেয়াদি সুদে বিদেশি অনুদান ও ঋণ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। আবার উচ্চসুদে বিদেশি ঋণ অনেক ক্ষেত্রে আসছে অসচ্ছভাবে।
দেবপ্রিয় দ্বিতীয় যে দিকটির কথা উল্লেখ করেন, সেটি হলো বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষেত্রে চাপ। এটি এর আগে দৃশ্যমান হয়নি। প্রবাসী আয় আর রপ্তানিতে ভালো হলেও আমদানি বাড়ায় লেনদেনের ঘাটতি বাড়ছে। বর্তমানে রিজার্ভ পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান, যা কয়েকদিন আগেও ছিল আট মাসের।
-এটি