আতাউর রহমান আলমপুরী: ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃত নুসরাতের সহপাঠী মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম,নূর,হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি ও মোহাম্মদ আলা উদ্দিনের নাম চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত না থাকায় তাদেরকে মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (১০ জুন) ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দান করেন।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি প্রিয়রঞ্জণ দত্ত সাংবাদিকদের জানান, আজ দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে নুসরাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃত ২১ আসামিকে আদালতে তোলা হয়।
এ সময় আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ১৬ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে দেয়া চার্জশিট আমলে নিয়ে আগামী ২০ জুন চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৭ মার্চ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ।
পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জাঁ লড়ে অবশেষে মুত্যুর কাছে হার মানেন তিনি।
এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারভুক্ত ৮ আসামিসহ এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও পিবিআই।
আরএম/