আওয়ার ইসলাম: গেলো জানুয়ারি থেকে গত পাঁচ মাসে এ একটি জেলা, শেরপুরে ৫৫টি ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ বেশ কয়েকজন ধর্ষককে আটক করে আইনের আওতায় আনলেও কমছে না ধর্ষণের ঘটনা।
নারীর প্রতি এমন সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। রোববার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় দেয়া তথ্যমতে, সবচেয়ে বেশি ধর্ষণের শিকার হচ্ছে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুরা। বাদ যাচ্ছে না প্রতিবন্ধী নারীরাও।
জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুবের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির এ মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলায় ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কমিটির উপদেষ্টা হুইপ আতিউর রহমান আতিক।
ধর্ষণ প্রতিরোধে আরও কঠোরভাবে আইনের প্রয়োগ করতে বলেন তিনি। ‘ধর্ষক যাতে কোনোভাবেই রেহাই না পায়, তার পদক্ষেপ নিতে হবে।’ আতিক এজন্য সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির কথাও বলেন।
পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ পেলেই পুলিশ সাথে সাথে ব্যবস্থা নেবে এমন নির্দেশনা রয়েছে। ধর্ষণের বিষয়ে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে।’
তিনি বলেন, জেলায় যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে। এই বিষয়ে গণসচেতনতা বাড়াতে পুলিশ নানা কর্মসূচি চালাচ্ছে।
ঈদুল ফিতরের উৎসব চলাকালে গত ৫ জুন শ্রীবরদী উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়।পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, আত্মীয়স্বজনের সাথে ঈদ করতে শিশুটি তার দাদার বাড়ি শালমারা গ্রামে আসে। যখন সে অন্য শিশুদের সাথে খেলা করছিল তখন আকরাম নামের একজন তাকে পাশের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
১ মে শ্রীবরদী উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ওই ছাত্রীর আত্মীয়স্বজনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শংকর ঘোষ গ্রামে নিজের বাড়িতে ওই মেয়েকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে উজ্জ্বল মিয়া।
-এটি