সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


৬ বছরের ছেলের বইয়ে ‘আল্লাহু আকবর’ শব্দটিকে সন্ত্রাসীরা হাইজ্যাক করেছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ৬ বছর বয়সে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পেল সুবর্ণ আইজ্যাক। বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়েসি এ লেখকের ‘দ্য লাভ’ বইটিতে উচ্চারিত হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হবার উদাত্ত আহ্বান।

সন্ত্রাসবাদবিরোধী কাজের জন্য এর আগে ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং ২০১৮ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে স্বীকৃতিও পেয়েছে সে।

মাত্র দেড় বছর বয়সেই তাক লাগিয়ে দেয় সুবর্ণ। ওই বয়সেই রসায়নের পর্যায় সারণি তথা কেমিস্ট্রি পিরিয়ডিক টেবিল মুখস্থ করে ফেলে।

তার বয়স যখন তিন, তখন লেবুর সাহায্যে ব্যাটারি এক্সপেরিমেন্ট করে। আর সাড়ে তিন বছর বয়সে বিখ্যাত একটি কলেজের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ পেয়েও যায় সে।

এখানেই শেষ নয়, ২০১৫ সালে পিএইচডি স্তরের গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন সমস্যা সমাধানের জন্য আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছ থেকে স্বীকৃতি পেয়েছিল সুবর্ণ।

এর আগে ২০১৪ সালে নিউ ইয়র্কের সিটি কলেজের প্রেসিডেন্ট ড. লিসা কোইকো সুবর্ণকে ‘আমাদের সময়ের আইনস্টাইন’ নামে অভিহিত করেন।

এইটুকুন বয়সে এতসব কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ হয়েই চলতি বছরের ২ মে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড: ডিল গিলপিন ফাউস্টের কাছ থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে সুবর্ণ। ইতোমধ্যে ভয়েস অব আমেরিকাসহ বিশ্বের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলোকে সাক্ষাৎকার দিয়েছে সুবর্ণ।

সুবর্ণ এগারোটি ঘটনার ওপর ভিত্তি করে ‘দ্য লাভ’ বইটি লিখেছে। যার থেকে দু’টি ঘটনা তাকে ‘দ্য লাভ’ আন্দোলন শুরু করতে অনুপ্রাণিত করেছিল।

প্রথমটি, ২০১৬ সালে ফোর্থ অব জুলাইয়ের প্রাক্কালে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রার্থনা করতে ইমামকে আহ্বান জানিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়। এ ঘটনার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সময়ে ‘মুসলিম অ্যান্ড আই লাভ আমেরিকা’ নামে একটি চলচ্চিত্রও তৈরি করা হয়েছে।

দ্বিতীয়টি, একই বছর ক্রিসমাসের আগের দিন সে যখন একজন মানুষকে বড়দিনকে বিভিন্নভাবে অসম্মান করতে দেখে। সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘দ্য লাভ’ বুক ট্যুরেও সুবর্ণ জানালো, ‘আল্লাহু আকবর’ শব্দটিকে সন্ত্রাসীরা হাইজ্যাক করেছে।

এ ধরনের বেশ কিছু পরিস্থিতির আলোকে সন্ত্রাসবাদবিরোধী আন্দোলন শুরু করতে অনুপ্রাণিতবোধ করেছিল সুবর্ণ। তার এ আন্দোলনে এর মধ্যেই বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার মানুষ যোগ দিয়েছে।

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও তার সহযাত্রী হয়েছে। তার এ আন্দোলন বাংলাদেশে গতি অর্জন করে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়ান লিমা এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারজানা মার্জিয়া ঢাকার রাস্তায় সুবর্ণের জন্য পোস্টার হাতে দাঁড়ান।

পোস্টারে লেখা ছিল সুবর্ণের দর্শন, আল্লাহু আকবর শব্দটিকে সন্ত্রাসীরা হাইজ্যাক করেছে। একজন মুসলমান হিসেবে আমি ইসলামকে ভালোবাসি। আমি হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি এবং খ্রিষ্টান ধর্মকেও সম্মান। চলুন ভালোবাসা দিয়ে সন্ত্রাসবাদকে পরাস্ত করি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ