আওয়ার ইসলাম: বিএনপির কেন্দ্র থেকে তৃণমূল, সব পর্যায়েই বিএনপির বড় একটি অংশ বর্তমান নেতৃত্বের পরিবর্তন চায়। সংসদ নির্বাচনে দাবি আদায়ে ব্যর্থতার পর, খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন প্রশ্নেও কর্মসূচি না থাকায় নেতৃত্ব বদলের দাবি জোরালো হয়েছে।
তৃণমূল নেতারা বলছেন, কেন্দ্র সক্রিয় নয় বলেই সফল হচ্ছে না আন্দোলন। তবে, দলটির মহাসচিব দাবি করছেন, সঠিক ভাবেই চলছে বর্তমান নেতৃত্ব।
গেলো দশম সংসদ নির্বাচনের আগে রাজপথে সক্রিয় থাকলেও দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয় বিএনপি। ২০১৪ সালে বর্জন করে সেই নির্বাচন। এরপর থেকেই নেতৃত্ব পরিবর্তনের বিষয়টি আলোচনায় আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয় নেতৃত্বে। ৬শ ২ সদস্যের নির্বাহী কমিটি গঠন হয় কাউন্সিলে।
বিএনপির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ কমিটির উপর দায়িত্ব বর্তায় নিদর্লীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ের। তবে, নির্বাচনের আগে রাজপথে সক্রিয় ছিল না নতুন এ কমিটি। শান্তিপূর্ণ উপায়ে দাবি আদায়ে, ২০১৮ তে যোগ দেয় ঐক্যফ্রন্টে। খালেদা জিয়ার মুক্তি বা নির্বাচন ইস্যুতে দাবি আদায়, কোনটিতেই সফল হয়নি দল। এমন প্রেক্ষাপটে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বিএনপি।
নিজেদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। নেতৃত্বে পরিবর্তনের পক্ষেও মত তাদের। তবে, বিএনপি মহাসচিব বলছেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শুধু নেতৃত্বের পরিবর্তন হলেই দাবি আদায় সম্ভব হবে না। নেতৃত্ব সঠিক ভাবে চলছে বলেও দাবি তার।
কাউন্সিল ছাড়া কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পরিবর্তন সম্ভব নয় বলে জানান বিএনপির জেষ্ঠ্য নেতারা। সেই সাথে খালেদা জিয়ার অবর্তমানে কাউন্সিল হচ্ছে না, এমন আভাসও দিয়েছেন তারা।
-এটি