আওয়ার ইসলাম: ভারতের গবেষণায় বলা হয়, শেষ কয়েক বছরে চিকিৎসকরা বারবার বলে আসছেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক নয়। সামান্য সমস্যায়ও অনেকে নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো বা সাধারণ ফার্মেসিওয়ালার পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করেন। আর এতেই বেড়েছে বিপদ।
গবেষণায় আরো বলা হয়, ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যে কাজ করছে না অ্যান্টিবায়োটিক। সম্প্রতি ভারতের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, দ্রুতগতিতে অ্যান্টিবায়োটিক ফেল করার পেছনে রয়েছে পাচক নালীতে থাকা একধরনের অণুজীবী৷
অনিয়মিত অ্যান্টিবায়োটিক সেবন। ওষুধের কোর্স সম্পূর্ণ না করা। কিংবা মাঝপথে ওষুধ বন্ধ করে দেওয়ার কারণেই পাচক নালীতে থাকা অনুজীবীদের একটা অংশ অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে পড়ছে বলে চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন৷
ভারতের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ রজকান্তি সিংহ চৌধুরীর বলেন, একটা সময় অ্যান্টিবায়োটিক ছিল না৷ সেসময় রোগের সঙ্গে লড়াই করা দুষ্কর ছিল।
সেটা ছিল প্রি-অ্যান্টিবায়োটিক যুগ এখন আমরা ক্রমশ পোস্ট অ্যান্টিবায়োটিক যুগের দিকে চলেছি। প্রত্যেক মানুষের শরীরেই বিশেষ কয়েকটি অ্যান্টিবায়োটিক গ্রুপ কাজ করছে না। সংখ্যাটা আগামী দিনে আরও বাড়বে।
কত সংখ্যায় সাধারণ মানুষের উপর অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না? উত্তরে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের রিপোর্টে যথেষ্ট চিন্তার উদ্রেক করছে। আইসিএমআরের দেওয়া তথ্য অনুসারে প্রতি ২০৭ জন মানুষের মধ্যে ১৩৯ জনের বিশেষ কোনো গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না৷
অ্যান্টিবায়োটিকের নষ্ট হয়ে যাওয়া রুখতে- যথেচ্ছ এবং অনিয়মিত অ্যান্টিবায়োটিক সেবন বন্ধ করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনভাবেই অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করা যাবে না।
-এটি