আওয়ার ইসলাম: সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদীতে অবৈধ চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী এবং তার ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও একজনের মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচজনের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার (১ জুন) জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির হুমকি ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকায় পুলিশের বিশেষ বিভাগের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক মুহা. আব্দুল আহাদ পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করেন। সেদিন সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল সংক্রান্ত নোটিশটি প্রকাশ করা হয়েছে।
যাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় পুলিশের ওপর হামলা, হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
যাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে- শহরের বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আরজ মিয়া চৌধুরীর পাঁচ ছেলে শাহীন আহমেদ চৌধুরী (ডিবিবিএল বন্দুক), জামাল আহমেদ চৌধুরী (এসবিবিএল বন্দুক, পর্তুগালের তৈরি), শামীম আহমেদ চৌধুরী (শর্টগান), কামাল চৌধুরী (শর্টগান) ও আহমেদ শাখাওয়াত চৌধুরী সেলিম (শর্টগান, তুর্কির তৈরি)। তারা সবাই স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদীতে অবৈধ চাঁদা আদায় ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক পৌর আবুল কালাম চৌধুরী ও তার ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যকার সংঘর্ষে এক দরিদ্র ভ্যান চালক ও ছাতক থানার ওসিসহ শতাধিক আহত হয়। এ ঘটনায় ছাতক থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
-এএ