আওয়ার ইসলাম: আসছে অর্থবছরের (২০১৯-২০২০) জাতীয় বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তন খাতে অন্তত এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি।
এ খাতে অর্থের ব্যবহারে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কৌশলগত নির্দেশনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার (১ জুন) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি এ দাবি জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিসিটিএফ) গঠন এবং ২০০৯ -২০১০ অর্থবছর হতে জাতীয় বাজেট থেকে বাংলাদেশ সরকার এ তহবিলে অর্থ বরাদ্দ করে আসছে। এটি প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষরকারী উন্নত দেশগুলো হতে বাংলাদেশের তহবিল প্রাপ্তির যৌক্তিক ভিত্তিকে সুদৃঢ় করেছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিসিসিটিএফ গঠনের পর এ তহবিলে বছরে ৭শ কোটি টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয় প্রথম তিন বছর। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকির সঙ্গে মিল রেখে বাজেট বরাদ্দ বাড়েনি, উল্টো কমে এসেছে।
অপরদিকে সবুজ জলবায়ু তহবিলসহ উন্নত দেশগুলোর গঠন করা অন্য আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিলে বাংলাদেশের অভিগম্যতাও অসন্তোষজনক। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির সঙ্গে অর্থ যোগানের চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে। এমন অবস্থায় অর্থ যোগান কমে যাওয়া উদ্বেগজনক।
তাই ঝুঁকি মোকাবিলায় বিসিসিটিএফ এর তহবিলের ঘাটতি পূরণে আগামী বাজেটে অন্তত এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের জোর দাবি টিআইবির।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জলবায়ু খাতে জবাবদিহিতা ও অর্থ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা না গেলে, ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকি বাড়বে। একইসঙ্গে সবুজ জলবায়ু তহবিলসহ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক তহবিলে বাংলাদেশের অভিগম্যতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা ও অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের বহুমুখী এবং যুগোপযোগী উদ্যোগ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
-এটি