আওয়ার ইসলাম: ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ধানের উৎপাদন, লাভ-ক্ষতি ও ন্যায্যমূল্যের ওপর শুধু কৃষকের ভাগ্য জড়িত নয়; দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ওপ্রোতভাবে জড়িত।
এ বছর দেশে ধানের ফলন ভাল হলেও ধান বিক্রি করতে গিয়ে কৃষক নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। প্রতি মণ ধান বিক্রিতে দেড় থেকে দুই শত টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের। এক শ্রেণির অসাধু, অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী ও দালালচক্র কৃষকের এই অসহায় অবস্থার সুযোগ নিচ্ছে।
মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্য, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীতে সরকার ভর্তুকি দিয়ে জনগণের পাশাপাশি উৎপাদকদের স্বার্থও রক্ষা করে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে ফড়িয়া, মজুদদার ও কিছু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছলচাতুরীতে বাজার, ভোক্তা, এমনকি সরকারও বেকায়দায় পড়ে।
এদেশে ধানের ন্যায্য মূল্য থেকে কৃষকদের বঞ্চিত হওয়ার কারণও তাই। তিনি বলেন, দেশে চাহিদার তুুলনায় বেশি ধান-চাল আছে। তার পরও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে সরকারি-বেসরকারিভাবে গত ১০ মাসে দুই লাখ টন চাল আমদানি হয়েছে এবং আরো তিন লাখ ৮০ হাজার টন চাল আমদানির অপেক্ষায় আছে। কৃষকশ্রেণী মনে করে, বাড়তি উৎপাদন ও আমদানীকৃত চাল বাজারে প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করায় ধানের মূূল্য কমে গেছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ধানের ন্যায্যমূল্যের সাথে কৃষকের বাঁচা-মরার সংগ্রাম নিহিত। তাই ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে চাল আমদানি বন্ধ, কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়সহ বিভিন্ন কৃষি বান্ধব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সেই সাথে দীর্ঘ মেয়াদী পদক্ষেপ হিসেবে সরকারী গুদামের ধারণ ক্ষমতা আড়াই থেকে তিন গুণ বাড়াতে হবে।
-এটি