আওয়ার ইসলাম: আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা হাফেজ নুরুল ইসলাম বলেছেন, আকীদায়ে খতমে নবুওয়ত হলো মুসলমানদের ঈমান। যারা খতমে নবুওয়ত অস্বীকার করে, কুরআন, হাদীস ও ইজমায়ে উম্মাহর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা কাফের। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর ভারতীয় এজেন্ট, পাঞ্জাবের মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী মিথ্যা নবুয়তের দাবি করে খতমে নবুওয়তকে অস্বীকার করেছে। তার অনুসারীরা আহমদীয়া মুসলিম জামাত নাম দিয়ে কাদিয়ানী মতবাদ সৃষ্টি করে সরলমনা মুসলমানদের ধোঁকা দিয়ে ঈমানহারা করছে। তাদের এ জঘন্য ষড়যন্ত্র সম্পর্কে ওলামায়ে কেরাম দীর্ঘ দিন থেকে সরকার ও দেশবাসীকে সতর্ক করে আসছে।
আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের ঢাকা খিলগাঁও দুই নাম্বার জোন আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আল্লামা নুরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের অনেকগুলো মুসলিম সংস্থা ও দেশ কাদিয়ানীদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করেছে । ইসলামের আকীদা-বিশ্বাস আর কাদিয়ানীদের জাল ও বিকৃত আকীদা বিশ্লেষণ করে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ পর্যায়ে সৌদি আরব, কাতার, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার সুপ্রিম কোর্ট, কাদিয়ানী বা আহমদীয়াদেরকে মুসলিম সমাজ-বহির্ভূত একটি অমুসলিম ধর্মাবলম্বী বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ধর্মিয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অনেক রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো আন্দোলন নেই। কাদিয়ানীরা সংখ্যালঘু, কিন্তু তারা নিজেদের পরিচয় 'মুসলমান' দিয়ে থাকে। এজন্যই খতমে নবুওয়ত তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। সরকার যদি তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম সংখ্যালঘু ঘোষণা করে চিহ্নিত করে দেয়, তাহলে অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মত দেশের নাগরিক হিসেবে তারাও শান্তিতে বসবাস করতে পারবে, এতে কারো কোনো আপত্তি থাকেনা। কাদিয়ানীদে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার আন্দোলনকে আরো জোরদার করতে হবে।
মাওলানা আশেক উল্লাহর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা আবদুল কাইয়ুম সোবহানী, মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা মুজিবুর রহমান, মাওলানা রাশেদ বিন নুর, মাওলানা আতাউর রহমান কাসেমী, মাওলানা তোফাজ্জল হক , মাওলানা আল আমিন, মাওলানা নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
-এএ