আওয়ার ইসলাম: রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে টিকিট কাটলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। মন্ত্রী ৩১মের ঢাকা-পঞ্চগড়ের টিকেট কেনেন।
বুধবার সকাল ১০ টার দিকে কমলাপুরে গিয়ে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকিট কাটেন তিনি। সে সময় মন্ত্রী অগ্রিম টিকেট কিনতে আসা মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। শোনেন তাদের নানা অভিযোগ।
কমলাপুর স্টেশনে টিকেট বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শনের পর ই-টিকেটিংয়ের অব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতা স্বীকার করেন রেলমন্ত্রী। বলেন, অনলাইনে টিকেট নিয়ে ভোগান্তির সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে অনলাইন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হলে তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হবে। টিকেট কালোবাজারি রোধে কঠোর ব্যবস্থা ও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এর আগে সকাল নয়টা থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনসহ রাজধানীর পাঁচটি স্থান থেকে ৩১ মের টিকেট বিক্রির মাধ্যমে টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। এই প্রথমবারের মতো রাজধানীর পাঁচ স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে ঈদের টিকিট। সে সব জায়গায় পর্যাপ্ত বুথ ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এই পাঁচটি স্টেশনের মধ্যে কমলাপুর স্টেশন থেকে থেকে যমুনা সেতু হয়ে পশ্চিমাঞ্চলগামী সবকটি ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
বিমানবন্দর স্টেশন থেকে দেয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট। তেজগাঁও স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী সব আন্তঃনগর ট্রেন, বনানী স্টেশন থেকে নেত্রকোণাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন এবং ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলভবন) থেকে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দেয়া হচ্ছে।
-এএ