আওয়ার ইসলাম: ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বিতর্কিতদের এবং পদবঞ্চিতদের ওপর হামলার ঘটনায় চিহ্নিতদের বহিষ্কারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসূচি স্থগিত করেছে আন্দোলনকারীরা।
রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গত কমিটির প্রচার সম্পাদক ও আন্দোলনকারী সাঈফ বাবু।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি মানা হয়েছে, তাই আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি। আমাদের দাবি ছিল, বিতর্কিতদের কমিটি থেকে বাদ দিয়ে যোগ্যদের স্থান দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ করিয়ে দিতে হবে। এছাড়াও দুটি হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার করতে হবে।
গত সোমবার ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকেই ক্ষোভের শুরু হয়, এর জের ধরে মারধরের ঘটনা পর্যন্ত ঘটে। শনিবার রাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেয় পদবঞ্চিতরা। অবশেষে, রোববার রাতে আওয়ামি লীগের চার জ্যেষ্ঠ নেতার সাথে প্রায় সাড়ে চারঘন্টা বৈঠকের পর, এল আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা।
এরপর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, সকল ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে দুই পক্ষ একসাথে পথ চলবে। মধুর ক্যান্টিনের হামলায় দোষীদের চিহ্নিত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, সোমবারের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
এর আগে, রোববার রাত ৯ টার দিকে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও বিএম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং পদবঞ্চিত অংশের ৮ জন।
-এএ