আবদুল্লাহ তামিম: প্রচণ্ড তাপদাহ ও পানি সংকটে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জীবন। সেহেরি-ইফতারের বিশেষ আয়োজন তো নেই; তার উপর তীব্র পানি সংকটে পবিত্র রমজানে সিয়াম সাধনা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে তাদের।
রোহিঙ্গাদের এলাকা পরিদর্শন করে দেখা গেছে, তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে তারা। গরমের তীব্রতার সাথে সাথে পানি সংকট আরো বেশি দুর্বিসহ করে তুলেছে তাদের জনজীবন।
এমন নিদারুন কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে ঘরে ফেরার আকুতি বেড়েছে রোহিঙ্গাদের মাঝে। শিবিরগুলোতে মৌলিক খাবারের আগের মতো তেমন ঘাটতি নেই। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা খাবার বিতরণ করছে। তবে পানি সংকট চরমে। বিশুদ্ধ পানির খুব অভাব। একটি সেবামূলক সংস্থা প্রতিদিন ক্যাম্পে পানি বিতরণ করে থাকে তবে তা যথেষ্ট নয়।
পানি সংকটের একটি কারণ হলো এতোগুলো মানুষের জন্য পর্যাপ্ত টিউবওয়েল নেই। অনেক সংস্থা ও ব্যক্তি শুরুতে টিউবওয়েল স্থাপন করেছেন ঠিকই কিন্তু তার অধিকাংশই অগভীর।আবার দেখা শোনার অভাবে অনেক টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে আছে।
অপরদিকে ক্যাম্পগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের স্বল্পতা রয়েছে। বড় প্রতিষ্ঠানগুলো চাল ডালের মতো খাদ্য বিতরণ করলেও তরি তরকারি কিন্তু কেউ বিতরণ করে না। সব পরিবারের পক্ষে বাজার থেকে এগুলো ক্রয় করাও সম্ভব নয়।
শরণার্থী শিবিরে থাকা শিশুদের জন্য এবারের রোজা স্মরণীয় হবে, তবে তা সম্পূর্ণ ভুল কারণে, মনে করেন কক্সবাজারে কর্মরত সেভ দ্য চিলড্রেন কর্মকর্তা রবার্টা বুসিনারো৷ এখানে শিশুদের খেলার জন্য শুধু ময়লা আর কাদা ছাড়া কিছু নেই৷
-এটি