আওয়ার ইসলাম: খেলাফতে ইসলামী বাাংলাদেশের আমির মাওলানা আবুুল হাসানাত আমিনী বলেছেন, এ বছর দেশে ধানের বাম্পার ফলন হলেও ধান বিক্রি করতে গিয়ে কৃষক নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। প্রতি মণ ধানের উৎপাদন খরচ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা হলেও কৃষক মাত্র ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় এই ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এক শ্রেণির অসাধু, অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী ও দালালচক্র কৃষকের এই অসহায় অবস্থার সুযোগ নিচ্ছে। ধান বিক্রি করতে না পেরে কৃষক নিজের পাকা ধানক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দেয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে। কৃষি ও কৃষকের এই দুরবস্থা দেশ ও জাতির জন্য এক অশুভ লক্ষণ।
আজ রোববার পুরানা পল্টনের জাফরান রেস্টুরেন্টে খেলাফতে ইসলামী এর আয়োজিত মুফতি ফজলুল হক আমিনী রহ.-এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসানাত আমিনী বলেন, কৃষি ও কৃষক অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি। ধান উৎপাদনে কৃষক উৎসাহ হারিয়ে ফেললে শুধু দেশের অর্থনীতিই দুর্বল হয়ে পড়বে না, দেশ এক চরম খাদ্যসংকটে পড়তে পারে। কৃষক যাতে তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম পায় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। তাই সরকারকে ধানের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করে কৃষকের পাশে দাঁড়াতে হবে। অগ্রাধিকার দিয়ে খুব দ্রুত সারা দেশে ধান সংগ্রহ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
মুুফতী আমিনী রহ.-এর স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আল্লামা মুফতী আমিনী রহ. পবিত্র রমজান মাসে ফরয ইবাদতের পাশাপাশি বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত, কিতাব অধ্যায়ন,নফল নামাযসহ বিভিন্ন ইবাদতে নিজেকে মশগুল রাখতেন। দুনিয়ার সাথে সম্পর্ক কমিয়ে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নকে বেশি গুরুত্ব দিতেন। আমাদেরকেও গভীর ধ্যান-মন দিয়ে ইবাদতে মত্ত হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করতে হবে।
খেলাফতে ইসলামীর মহাসচিব মাওলানা ফজলুুুর রহমানের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন-ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এহতেশাম সারওয়ার, যুগ্ম মহাসচিব মুুফতী তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা শেক লোকমান হোসাইন।
মাওলানা আব্দুল হাই ফারুকী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ গুলজার, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা গাজী ইয়াকুব, মাওলানা মীর হেদায়েতুল্লাহ গাজী, মাওলানা জাহিদ আলম, মাওলানা আনছারুল হক ইমরান, ছাত্রনেতা আবুুল হাসিম, মুহিউদ্দীন প্রমুুখ।
-এএ