রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


দখলমুক্ত হল চট্টগ্রামের ওমর ফারুক মাদরাসা, আজ জুমা পড়াবেন জুনায়েদ বাবুনগরী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ ইকরামুল হক
চট্টগ্রাম দক্ষিণজেলা প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বায়েজিদ থানাধীন ওয়াজেদিয়া ওমর ফারুক আল ইসলামিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা মাজারপন্থীদের থেকে দখলমুক্ত করে মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ তৈয়বের হাতে তুলে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটার দিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে মাদরাসা বুঝিয়ে দেয়া হয়।

হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী আওয়ার ইসলামকে জানান, আজ রাতে অবৈধভাবে দলখদাররা মাদরাসাটি কতৃপক্ষের কাছে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। আমরা বর্তমানে মাদরাসায় অবস্থান করছি।হেফাজত মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দেয়া আল্টিমেটামে বহিরাগতরা মাদরাসা হস্তগত করে দিতে বাধ্য হয়েছে। শুক্রবার মাদরাসার মসজিদে জুমার নামাজ পড়াবেন হেফাজত মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী।

এর আগে গত শনিবার (১১ এপ্রিল) সাড়ে এগারোটার দিকে সন্ত্রাসীরা দা-ছুরি, লোহার রড ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাদরাসায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষককে গুরুতর আহত করে। মাদরাসা অফিস ও আবাসিক ভবনের তালা ভেঙে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এমনকি মহিলা শাখার ছাত্রীরাও তাদের কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার ও অসদাচরণের শিকার হয়।

অবৈধ দখলদারমুক্ত করে পড়ালেখার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে গত (১৫ মে) বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন, হেফাজত মহাসচিব ও জামিয়া আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর সহযোগি পরিচালক আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী। তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা ৪ দফা দাবি জানিয়ে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন।

উল্লেখ্য, ওমর ফারুক আল-ইসলামিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠানটি দাওরায়ে হাদীস (তাকমীল) শিক্ষাস্থর নিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছেন। ২০০৭ সালে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে এ পর্যন্ত সহীহ দ্বীন ঈমান আকিদার প্রচার প্রসার ও জ্ঞাণ চর্চা করে আসছেন হাজারের অধিক ছাত্র ছাত্রী।

গত ১০ এপ্রিল হিফজ বিভাগের ছাত্র হাবিবুর রহমান মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনাকে পুঁজি করে স্থানীয় কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির নেতৃত্বে ১১ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলায় অসংখ্য ছাত্র-শিক্ষক গুরুতরভাবে আহত হন। পরে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির নেতৃত্বে মাদরাসার অফিস ভাঙচুর করে দাওয়াতে ইসলাম নামের বেদয়াতিরা মাদরাসাটি দখল করে নেয়।

-এএ


সম্পর্কিত খবর