সুলতান মাহমুদ বিন সিরাজ: চলছে পবিত্র মাহে রমজান। রমজান রহমত মাগফেরাত ও নাজাতের মাস। রহমতের দশ দিন শেষ হচ্ছে আজ। পূণ্যময় এই রমজান মুমিনের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বড় নেয়ামত। এ মাস কুরআন নাজিলের মাস। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘রমজান মাস এমন মাস, যে মাসে কুরআন নাজিল করা হয়েছে।’ (সূরা বাকারা : ১৮৫)
এ জন্য রমজান মাসের নফল বা ঐচ্ছিক ইবাদতের মধ্যে কুরআন তেলাওয়াত অন্যতম। মোটকথা রমজানে তেলাওয়াত সর্বোত্তম ইবাদাত। প্রতি বছর রমজান মাসে হজরত জিবরাঈল আ. রাসূলুল্লাহকে সা. পূর্ণ কুরআন শোনাতেন ও রাসূলুল্লাহ সা. হজরত জিবরাঈল আ. কে পূর্ণ কুরআন শোনাতেন।
আল্লাহর রাসূলের জীবনের শেষ রমজানে দু’বার পুরো কুরআন শুনিয়েছিলেন। এ কারণে প্রত্যেক মুসলিমের উচিত রমজানে কমপক্ষে একবার পুরো কুরআন তেলাওয়াত করা। আমাদের আকাবির ওলামায়ে কেরাম বা ইসলামের ইতিহাসে সব যুগের নেককার লোকগণ রমজান মাসে রোজার পর কুরআনুল কারিম তেলাওয়াতের প্রতি সবচে’ বেশি গুরুত্বারোপ করতেন ।
হাদিস শাস্ত্রের প্রাণপুরুষ ইমাম যুহরি রহ. রমজান মাস এলে বলতেন, এটা হলো কুরআন তেলাওয়াত ও খাদ্যদানের মাস। প্রখ্যাত তাবেঈ সুফিয়ান সাওরি রহ. রমজান এলে অন্যসব নফল আমল বাদ দিয়ে কুরআন তেলাওয়াতে মশগুল হয়ে যেতেন।
আল্লামা ইবনুল কাইয়িম রহ. বলেন, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ ও আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. এর মতে, ‘তারতিলের সঙ্গে ও বুঝে স্বল্প পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা, তাড়াহুড়ো করে অধিক পরিমাণ তেলাওয়াতের চেয়ে উত্তম।’ তবে না বুঝে কেবল পাঠ করলেও প্রতি হরফের বিনিময়ে ১০ নেকি অর্জিত হবে।
মাহে রমজান কুরআন নাজিলের মাস। এ সময় কুরআন তেলাওয়াতের সওয়াব অপরিসীম। এ জন্য মানবজাতির হেদায়াতের উদ্দেশ্যে অবতীর্ণ ঐশীগ্রন্থ কুরআন তেলাওয়াত করা ও কুরআন মোতাবেক নেক আমল করা প্রত্যেক মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য। তাই রমজান মাসকে আমরা তেলাওয়াতের মাস হিসেবে গ্রহণ করি। ঐচ্ছিক ইবাদতের মধ্যে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত সর্বোৎকৃষ্ট।
এমডব্লিউ/