আওয়ার ইসলাম: চট্টগ্রামে ওয়াকফ করা জমি ও মসজিদ, মাদরাসা সন্ত্রাসীদের হাত থেকে পুনরুদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন কাতার প্রবাসী শিল্পপতি আলহাজ ওমর ফারুক।
গত ১০ মে কাতারের আলআতিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অধীন বায়েজিদ থানায় ৩নং ওয়ার্ড ওয়াজেদিয়া শহীদুল্লাহ পাড়ায় আমি ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নিজস্ব জমিতে চারতলা মসজিদ ও দুটি মাদরাসা গড়ে তুলি। এ প্রতিষ্ঠানে ২০০ এতিমসহ ৭৫০ জন ছেলে মেয়ে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করে আসছে।
১০ এপ্রিল ওই প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কাউন্সিলর কফিলউদ্দীন আমার কাছে বড় অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। ইসলামী প্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধারের জন্য আমি চাঁদা দিতে রাজি হইনি। সেজন্য আমাকে নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
ওমর ফারুক বলেন, চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মাদরাসা মসজিদ দখল করে নেন। তাকে এ কাজে স্থানীয় কিছু কুচক্রী মহল সহযোগিতা করে আসছে। আমি এ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পুনরুদ্ধারে একজন প্রবাসী উদ্যোক্তা হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
যে শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটছে, সে বিষয়ে ওমর ফারুক বলেন, আমাদের বক্তব্য হলো, ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হত্যাকান্ড নাকি আত্মহত্যা, তা তদন্ত করে খুঁজে বের করে দোষীদের শাস্তি দেয়া হোক।
ওমর ফারুকের অভিযোগ, তারা হামলা চালিয়ে মাদরাসা ছাত্রদের জন্য মজুদ করা চাল, ডালসহ মাদরাসার স্থাপনার রড এবং আরও চার লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বায়োজিদ থানার ওসি বলেন, ওই মাদ্রাসায় একটি ছাত্রের হত্যার ঘটনা ঘটেছে এবং আমরা আসামীকে গ্রেফতার করেছি। এখন মাদরাসার কার্যক্রম বন্ধ আছে। প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ নিয়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় সংসদ সদস্য, সিটি কর্পোরেশন মেয়র এবং পুলিশ কমিশনারসহ আমাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। আমরা সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব।
এছাড়াও এই বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বলেন, আমি এই মুহূর্তে এ বিষয়ে বিস্তারিতভাবে বলতে পারছি না।
-এএ