আওয়ার ইসলাম: বয়স্ক বা মধ্যবয়স্ক অনেকেই কিডনি সমস্যায় ভুগেন। যারা অনেক ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগছেন, যাদের কিডনি বিকল হয়ে পঞ্চম ধাপে আছেন, নিয়মিত ডায়ালিসিস করতে হচ্ছে, মূত্রতন্ত্রের প্রদাহের চিকিৎসা চলছে বা যাদের কিডনির কোনো জরুরি অপারেশন করাতে হচ্ছে, তারা বেশ কিছু জিনিস নিয়ন্ত্রণ করে রোজা রাখতে পারবে।
কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রোজা রাখার ক্ষেত্রে কিছু পরামর্শ: ১. কিডনি রোগে আক্রান্তরা রোজা রাখতে পারবেন না এমন কথা নেই। তবে আকস্মিক কিডনি রোগে আক্রান্তদের রোজা রাখা উচিত নয়। রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় হওয়ার পর রোজা রাখা যাবে।
২. রক্তের ক্রিয়েটিনিন ৩০ শতাংশ বেড়ে গেলে, পটাসিয়াম বেড়ে গেলে রোজা রাখা ঠিক হবে না। ৩. কারো যদি সিরাম পটাসিয়াম ৪.৫-এর বেশি থাকে, তাহলে খেজুর, শুকনো ফলমূল, বাদাম, চা, কফি, চিজ, ফলের জুস ইত্যাদি খাওয়া ঠিক হবে না। আবার কারো পটাসিয়াম যদি ৪.৫-এর নিচে থাকে তাহলে পরিমিত ফলমূল খাওয়া যাবে। তবে পানি পানের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।
৪. যাদের কিডনি ফেইলিওরের মাত্রা শেষ পর্যায়ে, তাদের পক্ষে রোজা রাখা সম্ভব নয়। ৫. ডায়ালিসিস রোগী বাদে অন্যদের একটু বেশি পানি পান করা ভালো। বিশেষত পাথরজনিত রোগে যারা ভুগছেন, তারা সেহরি এবং ইফতারিতে বেশি পানি পান করবেন।
৬. ডায়ালিসিস রোগীরা প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার বেশি খাবেন। এ ছাড়া খেতে হবে ফাইবার, সালাদ, সবজি, রুটি, ভাত ইত্যাদি। তবে লবণ, পটাসিয়াম ও ফসফেটযুক্ত খাবার, ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত এবং টিনজাত খাবার বর্জন করতে হবে।
-এএ