আওয়ার ইসলাম: সুদানের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ওমর আল-বশিরকে সরিয়ে দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এর ফলে দেশটি থেকে প্রায় তিন দশকের একনায়কের অবসান হলো।
বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনী ওমর আল-বশিরকে সরানো ছাড়াও দেশ পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তী পরিষদ গঠনের বিষয়ে আলোচনার কথা জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
উত্তর দারফুরের উৎপাদন ও অর্থনীতিমন্ত্রী আদেল মাহজুব হুসেইন দুবাইভিত্তিক আল হাদাত টেলিভিশনকে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বশিরকে সরানোর পর ক্ষমতা অর্পণের জন্য একটি সামরিক পরিষদ গঠনের বিষয়ে আলোচনা চলছে।
রাষ্ট্রীয় টিভিতে এক উপস্থাপক বলেন, সুদানের সেনাবাহিনী শিগগিরই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দিবেন। অপেক্ষা করুন। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।
টিভিতে এই ঘোষণার পরই হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। ঘণ্টাখানেক অপেক্ষার পরও তারা সেনাবাহিনীর তরফে কোনো বিবৃতি পাননি।
আল-জাজিরা বলছে, জনতার মধ্যেই অন্তত দুটি সেনা ট্যাংক রাজধানীতে টহল দিচ্ছে। খার্তুমের হাজার হাজার বাসিন্দা রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে জড়ো হয়ে নেচে-গেয়ে বশিরবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা সেনা সদরদফতরের কাছে গোলাগুলির শব্দও পেয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের সরকারি বাসভবন এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছেই সুদানের সেনাবাহিনীর সদরদফতরের অবস্থান।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশটিকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন ওমর আল-বশির। কিন্তু, গত কয়েক মাস ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছিল। তিন দশকের ক্ষমতার মেয়াদে প্রেসিডেন্ট বশির এই প্রথম বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রাজধানী খার্তুমে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে জড়ো হওয়া কয়েক হাজার সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টাকালে সেনা সদস্যরা তাদের বাধা দেয়। গত ৯ এপ্রিলের ওই সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ছয়জন।
-এএ