জুনায়েদ হাবীব: চট্টগ্রামে হাবিবুর রহমান নামের (১১) এক মাদরাসা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাতে নগরের বায়েজীদ বোস্তামী থানার ওয়াজেদিয়া এলাকার জামেয়া ওমর ফারুক আল ইসলামিয়া মাদরাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত হাবিবুর মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। তার বাড়ি খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায়। বাবা আনিসুর রহমান সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক।
আজ দুপুরের দিকে মর্গের সামনে আনিসুর রহমান গনমাধ্যমকে জানান, চার দিন আগে হাবিবুরকে মাদরাসার শিক্ষক তারেক আহমেদ মারধর করেন। এ কারণে হাবিবুর মাদরাসা থেকে বাসায় চলে আসে। পরদিন বুঝিয়ে-শুনিয়ে ফের তাকে মাদ্রাসায় পাঠানো হয়।
গতকাল সন্ধ্যায় মাদরাসা থেকে ফোন করে তাকে জানানো হয়, হাবিবুরকে পাওয়া যাচ্ছে না। আত্মীয়স্বজন মিলে বিভিন্ন জায়গায় হাবিবুরের খোঁজ করা হয়। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। রাত নয়টার দিকে মাদরাসা থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, হাবিবুর মাদরাসার একটি কক্ষের জানালার গ্রিলের সঙ্গে গামছা লাগিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে মাদরাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক তারেক আহমেদ জানান, গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাদরাসায় খেলাধুলা করে হাবিবুর। পরে হাবিবুরকে পাওয়া যায়নি। পরে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। একপর্যায়ে মাদরসার চতুর্থ তলার একটি কক্ষে তার লাশ পাওয়া যায়। তবে হাবিবুর কেন আত্মহত্যা করেছে, বুঝতে পারছেন না তিনি।
বায়েজীদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, এটি হত্যা, নাকি আত্মহত্যা, তা স্পষ্ট নয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। হত্যার সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই মাদরাসায় তালা লাগিয়ে দেয়। তারা মাদরাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নানান অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওই ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
-এএ