আওয়ার ইসলাম: নিউজিল্যান্ডের মুসলিম নারীদের প্রতি সমর্থন জানাতে আগামীকাল শুক্রবার সারা দেশ জুড়ে নারীরা একদিনের জন্য বোরকা বা হিজাব পরবেন।
গত ১৫ মার্চ দেশটির দুটি মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ৫০ মুসলিমের প্রাণহানীর পর তাদের প্রতি সমর্থন ও সহমর্মিতা প্রকাশ করতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে দেশটিতে।
অনুষ্ঠানটির নাম ‘হেডস্কার্ফ ফর হারমনি’। আয়োজকরা বলছেন, সবাই নিজেদের ইচ্ছেমতো মুসলিম নারীর নিয়মে হিজাব পরবেন। খবর বিবিসি বাংলার
অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলাম বিষয়ক একজন পণ্ডিত ড. যাইন আলী বলছেন, এই অনুষ্ঠানটি নিয়ে তিনি ভীষণভাবে গর্বিত। নিউজিল্যান্ডের মুসলমান নারীরাও অনুষ্ঠানটি নিয়ে গর্বিত হতে পারেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড পত্রিকা বলছে, হেডস্কার্ফ ফর হারমনির ধারণাটা প্রথম আসে অকল্যান্ডের একজন ডাক্তার থায়য়া আশমানের মাথায়।
ক্রাইস্টচার্চের হামলার পর একদিন তিনি টিভির খবর দেখতে পান যে একজন মহিলা বলছেন, ঐ ঘটনার পর তিনি হিজাব পরে বাইরে বেরুতে ভয় পাচ্ছেন।
একথা শুনে তিনি মনে করলেন সারা দেশের মুসলমান নারীদের জন্য কিছু একটা করা দরকার। এরই পথ ধরে ‘হেডস্কার্ফ ফর হারমনি’র শুরু।
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড জানাচ্ছে, শুরুর দিকে ডা. আশমান বিষয়টি নিয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে আলাপ বলেন। পরে তিনি ইসলামিক উইমেন কাউন্সিল অফ নিউজিল্যান্ড এবং মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন অফ নিউজিল্যান্ডের কর্মকর্তাদের সাথেও কথা বলেন।
দুটি প্রতিষ্ঠানই ডা. আশমানের উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানায়। কিউইরা কিভাবে এই মাথা ঢেকে রাখবেন তা নিয়ে ডা. আশমান তাদের কাছ থেকে পরামর্শ চান।
তবে তিনি বলছেন, তিনি ঠিক হিজাব পরার কথা বলছেন না। তার বদলে নিউজিল্যান্ডের নারীরা যে কোন ভাবে কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে মুসলিমদের প্রতি সমর্থন জানালেই চলবে।
তবে এ অনুষ্ঠানের সমালোচনা করে কিছু ব্যক্তি বলছেন এর মাধ্যমে নারীদের অবমাননা হবে।
তরে প্রতিউত্তরে অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. যাইন আলী বলছেন, এর মধ্য দিয়ে মুসলিম নারীদের অবমাননা হবে না বলেই তিনি বিশ্বাস করেন। কারণ কাউকে জোর করে মাথায় কাপড় দেয়ানো হচ্ছে না।
আরআর