শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

যেভাবে পেতে পারেন দেওবন্দে পড়ার সুযোগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মদ
আওয়ার ইসলাম

ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দে পড়ার স্বপ্ন আছে প্রায় প্রতিটি কওমি পড়ুয়া তরুণের। কিন্তু আজকাল ভিসা বা এ সংক্রন্ত জটিলতায় অনেক তরুণই তাদের স্বপ্নপূরণে ব্যর্থ হন।

বিশ্ববিখ্যাত এ প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করতে অনেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশ থেকে টুরিস্ট ভিসায় দেওবন্দ পৌঁছার চেষ্টা করেন। তবে এখন থেকে আরও কোনোরকমে দেওবন্দে পৌঁছালেই সেখানে পড়ার সুযোগ পাবেন না আগ্রহীরা। এর জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে তাদের।

যেভাবে পেতে পারেন দেওবন্দে পড়ার সুযোগ–

দারুল উলুমে ভর্তি হতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঢাকায় থাকা ভারতীয় দূতাবাস থেকে ‘স্টাডি ভিসা’ নিতে হবে। এক্ষেত্রে ‘টুরিস্ট ভিসা’ নিয়ে গিয়ে দারুল উলুমে ভর্তি হওয়া যাবেই না।

ভিসা পেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ বা এনওসি দেবে দারুল উলম। তবে এক্ষেত্রে পড়তে আগ্রহীদের মধ্যে যারা বাবার নাম, ডাকঘরের পূর্ণ ঠিকানা, পাসপোর্টের কপি, দারুল উলম দেওবন্দে যে ক্লাসে ভর্তি হতে ইচ্ছুক তার তথ্য ইত্যাদি সরবরাহ করলে এনওসি মিলবে।

বিদেশি শিক্ষার্থীরা কেবল আরবি ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি এবং দাওরাহ অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। এক্ষেত্রে আগে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। তবে তারও আগে আগের মাদরাসাগুলো থেকে পাওয়া চারিত্র্যিক সনদ দেখাতে হবে।

দারুল উলমে শিক্ষার ভাষা উর্দু। এক্ষেত্রে যেসব শিক্ষার্থী কাজ চালানোর মতো উর্দু জানবেন, তারা অগ্রাধিকার পাবেন।

দারুল উলম বিনামূল্যে শিক্ষা, থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করবে। এক্ষেত্রে কোনও শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এক টাকাও নেওয়া হয় না।

বাংলাদেশ থেকে যেসব শিক্ষার্থী দারুল উলমে পড়তে যাবে স্টুডেন্ট ভিসার পাশাপাশি মাওলানা ক্বারি আব্দুল খালিক (জামিয়া হুসাইনিয়া, আর্জাবাদ, মিপুর, ঢাকা) বা মাওলানা নুর হোসাইন কাশেমির (মাদরাসা বারিধারা) দেওয়া পত্র বা চিঠি নিয়ে যেতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদনপত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদের ফটোকপি জমা দিতে হবে এবং ভর্তির আগে শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদের মূলকপি দেখাতে হবে।

দারুল উলম দেওবন্দ কোনও দূর-শিক্ষা বা অনলাইন কোর্স চালায় না। সূতরাং সে পথে শিক্ষার্থীদের না যাওয়াই ভালো।

কেপি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ