রিদওয়ান হাসান
ইজতেমা থেকে
আলেম-ওলামা, ধর্মপ্রাণ লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ধর্মীয় ভাব-আবেগ ও গম্ভীর্যের মাধ্যমে চলছে মজলিসে দাওয়াতুল হকের ২৪তম কেন্দ্রীয় ইজতেমা।
আজ শনিবার বাদ ফজর থেকে যাত্রাবাড়ীর জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়ায় (যাত্রাবাড়ী বড় মাদরাসা) দিনব্যাপী এ ইজতেমা শুরু হয়েছে।
অনুষ্ঠানে শাইখ যাকারিয়া ইসলামি রিসার্স সেন্টারের পরিচালক মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমাকে আকাবিরদের মিলনমেলা বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, বর্তমান যুগে বাংলাদেশে মুসলমানের সংখ্যা বেশি হওয়া সত্বেও রাসুল সা. ও সাহাবীদের আদর্শ বিকৃতি করে রাসুলের আদর্শ নি:শেষ করার পায়তারা চলছে। এ মুহুর্তে রাসুলের আদর্শের ওপর টিকে থাকার একমাত্র উপায় আল্লাহওয়ালাদের সাথে সম্পর্ক রাখা। এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় আমার সামনে নেই।
তিনি আরো বলেন, যুগে যুগে কিছু বিপদগামী লোকের মাধ্যমে ইসলামের মধ্যে কিছু বিদয়াত, ভুল ব্যখ্যা প্রবেশ করে। আল্লাহ তায়ালা এই সময় মুজাদ্দে পাঠান এবং দীনের সংস্কারের দায়িত্ব তার ওপরে দেন। যা করে গেছেন আশরাফ আলী থানভী রহ.। পরবর্তীতে তার হাতে গড়া কারামতের নাম শাহ আবরারুল হক রহ. এ কাজকে আরো ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে আল্লামা মাহমুদুল হাসান এ কাজ পরিচালনা করছেন।
এ সময় তিনি আল্লাহর রাসুল সা. এর সুন্নতের ওপর বেশি বেশি আমল করার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা আমাদের ব্যক্তি জীবনে, পারিবারিকভাবে, মসজিদ, মাদরাসায় সুন্নতের আমল বেশি বেশি করার চেষ্টা করব এবং অন্যকে করার জন্য উৎসাহিত করেন।
ইজতেমা উপলক্ষ্যে সুন্নতের আমলি মশক, দেশ-বিদেশের আলেমদের গুরুত্বপূর্ণ বয়ান, জিকির এবং দোয়া-মোনাজাতসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
মজলিসে দাওয়াতুল হক মহানবী সা. এর জীবন, আদর্শ ও সুন্নত চর্চার একটি বিশেষ কেন্দ্র। দেশব্যাপী সাধারণ মানুষদের আজান, ইকামত, নামাজ, ওজু, জানাজাসহ সুন্নতের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ হয়।
মারকাজী ইজতেমায় দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের সব হালকার আমীর, নায়েবে আমীর, কর্মীবৃন্দ ও ইমাম, মুয়াজ্জিন, উলামা-মাশায়েখসহ সবস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলমান উপস্থিত হয়েছেন।
এছাড়াও দেশ বরেণ্য আলেম-উলামা ও পীর-মাশায়েখরা ইজতেমায় উপস্থিত থাকবেন।
রাত ৯টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমা শেষ হবে।
আরএম/