রকিব মুহাম্মদ
আওয়ার ইসলাম
কাশ্মীর অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভারত সরকার, কাশ্মীরি স্বাধীনতাকামীদের এবং পাকিস্তান সরকারের মধ্যে প্রধান আঞ্চলিক বিরোধ চলছে। যদিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে ১৯৪৭-এর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় থেকেই আন্তঃরাজ্য বিরোধ রয়েছে।
বর্তমানে ভারত-পাকিস্তানের দলাদলিতে পিষে গেছে কাশ্মীর। ১৯৪৭ সাল থেকে দুই পারমাণবিক দেশের যুদ্ধের কেন্দ্র কাশ্মীর অঞ্চল।
পাকিস্তান ও ভারতের কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত ৭০ বছরে তিনটি যুদ্ধ অবতীর্ণ হয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে ১৬ বছর আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু এটি প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
সম্প্রতি জইশ-ই-মহম্মদ নামে একটি সংগঠন ভারতে তাদের সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ৪৬ জন সামরিক বাহিনীর লোককে হত্যা করেছে।এ ঘটনায় দেশটি পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালায়।
ভারত এ হামলায় অনেকেই হতাহত হয়েছে বলে দাবি করছে। এ হামলায় কোনো হতাহত হয়নি বলে জানায় পাকিস্তান। এ নিয়ে দুদেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সামরিক হামলা হয়। এতে ভারতীয় দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান।
অন্যদিকে পাকিস্তানের একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করে। ভারতীয় যুদ্ধবিমান মিগ-২১ ভূপাতিত করার পর দেশটির এক পাইলটকে বন্দি করে পাকিস্তান।
পরবর্তীতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শান্তির শুভেচ্ছা নিদর্শন হিসেবে বন্দি পাইলটকে ভারতে হস্তান্তর করে। কিন্তু এরপর পাকিস্তান ও ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীরের সীমান্ত এলাকায় ভারি গোলাবর্ষণ করে। এতে দুপক্ষের অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে দুই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী রয়েছে।
এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্তঘেঁষা ত্রাল এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে জঙ্গিদের ধরতে তল্লাশী চালায়। এসময় ভারত সেনা স্বাধীনতাকামীদের দুইজনকে গুলি করে হত্যা করে।
সর্বশেষ ভারতীয় একটি সাবমেরিন সোমবার রাতে পাকিস্তানের জলসীমায় প্রবেশের সময় আটকে দিয়েছে পাকিস্তানের নৌবাহিনী।
পাকিস্তান বলছে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওই ভারতীয় সাবমেরিনটি ধ্বংস করা পাকিস্তানের নৌবাহিনীর কাছে কোনো বিষয়ই ছিল না। কিন্তু পাকিস্তান সরকার যুদ্ধ নয়, শান্তির নীতি গ্রহণ করায় সাবমেরিনটিকে অক্ষত অবস্থায় ছেড়ে দেয়া হয়।
তবে কি শান্তির পথ এতটাই সোজা? দুই দেশের মধ্যে চলমান এ উত্তেজনা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। এ সংঘর্ষের মধ্যে কি বিরোধীয় হিমালয় অঞ্চলে শান্তি ফিরে আসা সম্ভব?
আরএম/