আওয়ার ইসলাম: ‘মাদক’বর্তমানে দেশের অন্যতম বড় একটি সমস্যা। নিয়মিতই বাড়ছে মাদকাসক্তের পরিমাণ। এ সমস্যা নির্মূলে দেশের সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছে। বেসরকারিভাবেও মাদকসেবীদের সংশোধনের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করছে দেশের বিভিন্নি এনজিও, প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল।
আশা অনুপাতে ফলাফল না আসলেও কিছু মানুষ আলোর পথে ফিরতে শুরু করেছেন। আবার কেউ কেউ অন্ধকার থেকে আলোয় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তারা যেন ফিরতে কোন অসুবিধায় না পড়েন সে বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন মনোবিজ্ঞানীরা।
তারা বলেন, অন্ধকার থেকে একটা মানুষ আলোর পথে ফিরে আসার জন্য তার প্রতি সু-ব্যবহার করা এবং সহনশীল আচরণ করা দরকার। পাশাপাশি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হয়। এবং তার ফিরে আসার পর ধর্মের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
এমনই এক মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্র ‘আলোকিত মানুষ’। মাদক নিরাময়ের সুচিকিৎসা ও ধর্মের সমন্বয় করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তারা স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি আক্রান্ত রোগিদের ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। তারা মনে করেন, সুচিকিৎসা ও ধর্মই একটি মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে আসতে সাহায্য করে।
[caption id="attachment_142465" align="alignnone" width="500"] ‘আলোকিত মানুষ’ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের অফিসের একাংশ[/caption]
আলোকিত মানুষের সিনিয়র কর্মকর্তা শেখ নাদিম হোসেন আওয়ার ইসলামকে বলেন, আমরা আক্রান্ত রোগিদের আলোর পথে নিয়ে আসার জন্য দুই ধরনের চিকিৎসা দিয়ে থাকি। প্রথম, ডাক্তারদের মাধ্যমে ঔষধ সেবন এবং পরিচর্যা। দ্বিতীয়, ধর্মীয় মানসিকতা তৈরি করা।
তিনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! আমরা এর কিছুটা হলেও করতে সক্ষম হয়েছি। এখন আমাদের প্রেসেন্টরা নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছেন। হাদিসে বর্ণিত আমলগুলো গুরুত্ব সহকারে আদায় করছেন। প্রথম দিকে কষ্ট হলেও কিছুদিন পর প্রেসেন্ট নিজেই বলেন, আমার কুরআন পড়তেই বেশি ভাল লাগে।
তিনি আরও বলেন, একবার ভাল হয়ে যাবার পর যেন আবার মাদকাসক্ত হয়ে না পড়েন এজন্য আমরা তাদেরকে দীনের পথে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। কাউকে তাবলীগের সাথে জুড়ে দেই, আবার কাউকে আলেমদের সাথে সম্পৃক্ত করে দেই।
আমরা আশা করছি, এভাবেই তারা একটা সময় মাদককে দূরে ঠেলে দিতে পারেন। সুন্দর জীবনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যান। বললেন শেখ নাদিম।
আরএম/