আওয়ার ইসলাম: জম্মু-কাশ্মিরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতি হামলার পর ভারত ঘোষণা করে, পাকিস্তানকে যাতে আন্তর্জাতিক মহলে একঘরে করা যায়, সেজন্য কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হবে। এর অংশ হিসেবে এবার পাকিস্তানের সঙ্গে জঙ্গিসম্পৃক্ততার প্রমাণ সংগ্রহে নেমেছেন ভারতের গোয়েন্দারা। সূত্র– এনডিটিভি।
শনিবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন দেশটির বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা। ওই বৈঠক সূত্রে তথ্য জেনেছে এনডিটিভি।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যাবতীয় প্রমাণ তুলে দেওয়া হবে ‘দি ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সে’র হাতে। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে ওই সংস্থাটি গঠিত। সন্ত্রাসবাদীদের অর্থের উৎস বন্ধ করাই ওই সংস্থার কাজ।
ভারত দি ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের কাছে প্রমাণ করতে চায়, জইশ-ই-মুহাম্মদকে নিয়মিত সাহায্য করে পাকিস্তান। জইশ নেতা মাওলানা মাসুদ আজহার পাকিস্তানে প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়ান।
এদিন যে গোয়েন্দা কর্তারা রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে বৈঠকে বসেন, তাদের মধ্যে ছিলেন রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালেটিক্যাল উইং-এর প্রধান অনিল ধাসমানা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গাউবা, ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর প্রধান রাজীব জৈন।
একটি সূত্র জানায়, গোয়েন্দা কর্তারা রাজনাথ সিংকে বলেছেন, সিআরপিএফের কনভয়ে হামলার পরেই একটি ভিডিওতে আদিল আহমেদকে দেখা গিয়েছিল। ভিডিওটি প্রকাশ করেছিল জইশ ‘জঙ্গি’রা। তা থেকে বোঝা যায়, ২২ বছরের আদিল জইশের সঙ্গেই যুক্ত ছিল। আদিল আহমেদকে যে ট্রেনিং দিয়েছিল, সে এখন কাশ্মিরেই লুকিয়ে আছে বলে জানা যায়। তাকে খুঁজছে নিরাপত্তারক্ষীরা।
দি ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্স-এর সদর দফতর প্যারিসে। আগামী সপ্তাহেই ওই সংস্থার বৈঠক আছে। সেখানে ভারত দাবি জানাবে, পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হোক। কোনও দেশ ওই সংস্থার কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার অর্থ, তারা সন্ত্রাসবাদ দমনে আন্তর্জাতিক মহলকে সাহায্য করছে না। সেক্ষেত্রে আইএমএফ, এডিবি বা বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেতে সেই দেশের সমস্যা হতে পারে।
পাকিস্তান এখন এমনিতেই আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। গত বছর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কিছুদিন পরেই ইমরান খান আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে আর্থিক সাহায্য মিলেছে সামান্যই।
পাকিস্তান ইতোমধ্যেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছে। আগামী দিনে তাদের আরও বেশি ঋণ প্রয়োজন হবে। ভারত চাইছে, পাকিস্তানের ঋণ পাওয়ার রাস্তা বন্ধ করতে।
কেপি